Advertisement

Ashim Sarkar Bjp: 'আধারকার্ড ব্লক হচ্ছিল, মানুষকে জবাব দিতে পারছিলাম না', ভোটে হারের কারণ জানালেন অসীম

বাংলায় আসন কমা ও ভোটের ফলে বিপর্যয় নিয়ে একের পর এক নেতা ও প্রার্থী মুখ খুলছেন। দিলীপ ঘোষ ক্রমাগত বিষোদগার করে চলেছেন দলের একাংশের ভূমিকার ওপর। তিনি দলের অন্দরে 'কাঠিবাজি'র অভিযোগ করেছেন। সঙ্গে দাবি করছেন, তাঁকে যদি মেদিনীপুর থেকে ভোটে লড়তে দেওয়া হত, তাহলে তিনি অন্তত ১ লক্ষ ভোটে জিততেন।

পরাজিত বিজেপি প্রার্থী ও হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার। ফাইল ছবি
সুকমল শীল
  • কলকাতা,
  • 07 Jun 2024,
  • अपडेटेड 6:02 PM IST
  • সিএএ লাগু হওয়ার পরও আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।
  • ওপার বাংলার প্রমাণ চাওয়া হয়েছিল। যা সবার পক্ষে সম্ভব ছিল না।

বাংলায় আসন কমা ও ভোটের ফলে বিপর্যয় নিয়ে একের পর এক নেতা ও প্রার্থী মুখ খুলছেন। দিলীপ ঘোষ ক্রমাগত বিষোদগার করে চলেছেন দলের একাংশের ভূমিকার ওপর। তিনি দলের অন্দরে 'কাঠিবাজি'র অভিযোগ করেছেন। সঙ্গে দাবি করছেন, তাঁকে যদি মেদিনীপুর থেকে ভোটে লড়তে দেওয়া হত, তাহলে তিনি অন্তত ১ লক্ষ ভোটে জিততেন। শুক্রবার 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন'কে পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারও নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন। জানালেন লোকসভা ভোটে দুর্নীতি হয়েছে। টাকার খেলাও চলেছে। 

এছাড়াও জনপ্রিয় কবিয়াল ও হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, ভোট গণনার দিন ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, 'আমার লোকজনকে খাবার দেওয়া হয়নি। এমনকি জলও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। সব জায়গায় আমার লিড ছিল, কিন্তু গণনাতেই কারচুপি হয়েছে। টাকা দিয়ে এজেন্ট কিনতে পারে। টাকা দিয়ে ভোট দিতে না দেওয়া। সন্ত্রাসও হয়েছে। দলের কেউ কেউ যুক্ত থাকতে পারে। সেটা দলের কাছে বলব।'

বাংলায় বিজেপির সামগ্রিক বিপর্যয় নিয়ে অসীম সরকারের দাবি, সিএএ-তে বাংলাদেশের প্রমাণ দেওয়ার বিষয়টা বুমেরাং হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, নতুন সরকার আসার পর অপশনাল হয়ে যাবে ওই বিষয়টা। উদ্বাস্তুদের একটা ক্ষোভ ছিল। তাঁদের এক দাড়িওয়ালাকে কাজে লাগান হয়েছে। একজন ইউটিউবারও ছিলেন ষড়যন্ত্রে। অসীম বলেন, 'ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষেরা একটু ক্ষুব্ধ ছিলেন। আধার কার্ড যখন লক হয়েছিল, আমি কাউকে জবাব দিতে পারছিলাম না। যদিও পরে সেগুলি খুলে দেওয়া হয়। সিএএ লাগু হওয়ার পরও আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। ওপার বাংলার প্রমাণ চাওয়া হয়েছিল। যা সবার পক্ষে সম্ভব ছিল না।'

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় নাগরিক হওয়ার শর্তপূরণ করতে না পারায় আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করার চিঠি পাচ্ছিলেন আউশগ্রাম, পূর্বস্থলী, মেমারি, ভাতারের বাসিন্দাদের একাংশ। প্রশাসনের কাছে ঠিকঠাক দিশা না থাকায় বিভ্রান্তি বাড়ছিল। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে জেলার নানা জায়গায় পথে নেমেছিল তৃণমূল।

Advertisement

খারাপ ফলের জন্য সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে বলে মনে করেন অসীম ঘোষ। দিলীপ ঘোষের হার নিয়ে অসীমের বক্তব্য, 'দিলীপ ঘোষ হেরে যাওয়ায় আমি দুঃখ পেয়েছে। আমি ৪০০ বুথে এজেন্ট দিতে পারিনি। তবে খুব বেশি যে ছাপ্পা হয়েছে, তা কিন্তু না। আমি রিকাউন্টিং চেয়েছি। এবং কমিশনকে চিঠি দিয়েছি।' 

পাশাপাশি তিনি বলেন, 'তবে এবার আন্তর্জাতিক একটা সংগঠন চক্রান্ত করেছে। আমাদের কাছে খবর এসেছে। মোদীজির জনপ্রিয়তা তাদের সহ্য হচ্ছে না। যেকারণে মুসলিম দেশগুলির একটা চক্র টাকা ঢেলেছে বিজেপিকে হারাতে। ভারত পৃথিবীর তৃতীয় শক্তি হয়ে উঠছে, সেটা ওই দেশগুলি মেনে নিতে পারেনি।'
 


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement