John Barla Manoj Tigga: কদিন আগেই প্রার্থী না হতে পেরে বিধায়ক তথা দল মনোনীত আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। তাঁকে প্রার্থী না করলে তিনি মনোজের বিরুদ্ধে প্রচার করবেন বলেও তিনি জানিয়ে দেন। এমনকী তাঁর মান ভাঙানোর জন্য মনোজ ও দলের জেলা সভাপতি তাঁর বাড়িতে গেলে তিনি দেখা করেননি। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় তাঁকে ডাকা হয়। সেখান থেকে ফেরার পরই সুর বদলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা। ফিরে এসেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে তিনি মনোজকে ভাই বলে সম্বোধন করে তাঁকে জেতাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়ে দেন। যার পর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে দলে।
কিন্তু কোন মন্ত্রে তাঁর মান ভাঙানো হল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না জন বা মনোজ কেউই, তবে দলীয় সূত্রের খবর, জন বারলাকে বড় দায়িত্ব দিতে চলেছে দল। সেই দায়িত্ব কী তা নিয়েই জল্পনা দানা বাঁধছে। জানা যাচ্ছে রাজ্যসভা থেকে তাঁকে সাংসদ করা হতে পারে। থাকতে পারে মন্ত্রিত্বও। তবে কোনও কিছু নিয়েই মুখ খেলেননি জন বা মনোজ। এদিকে জনের পুরনো মন্তব্যকে ঘিরে প্রচার শুরু করেছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিকবরাইক। যতই তাঁরা এক হয়ে প্রচার শুরু করুন না কেন, জনের আগের বক্তব্যই ঠিক বলে দাবি তৃণমূল প্রার্থীর।
জন বার্লা জানিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে নামবেন তিনি। এমনকী লোকসভা নির্বাচনে মনোজ সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে জিতবেন বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন। পাশাপাশি তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, "আমিই আগামী দিনে এই এলাকা সামলাব।" এলাকার উন্নয়নও তিনিই করবেন বলে দাবি করেন। তাঁর এই মন্তব্যের পরই তাঁর সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বার্লার রফাসূত্র নিয়ে চর্চা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। মনোজকে নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই, এত বড় দলে মন কষাকষি হতেই পারে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, "মনোজ আমার ভাই। আমি ওঁর অভিভাবক। মনোজ-সহ দলের সবার জন্যই আমি প্রচার করব। মনোজ সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে জয়ী হবেন।”
এ নিয়ে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, “কিন্তু জন বার্লা বরাবরই আমার অভিভাবক। আমাকে আরও বড় ব্যবধানে জয়ী করতে ওঁর গুরুত্ব অপরিসীম।” এদিকে তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “জন বার্লা এ দিন কী বলেছেন, জানি না। কিন্তু শুরুতে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে উনি যে অভিযোগ করেছেন, সেগুলি ঠিক। তাঁর সেই বক্তব্যকে সামনে রেখেই চা বলয়ে আমাদের প্রচার চলবে।” ফলে অস্বস্তি পুরোপুরি কাটল কী? সময় বলবে।