তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র তাঁর সাংসদপদ হারিয়েছেন। আজ, শুক্রবার দুপুরে এই সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই মহুয়া সংসদের বাইরে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, 'আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। আমি আদানি ইস্যু তুলে ধরেছি, ভবিষ্যতেও ধরব। কোথাও নগদ, উপহারের প্রমাণ নেই। আমি আমার পোর্টাল লগইন শেয়ার করেছিলাম। এর ভিত্তিতেই আমায় অপসারণের সুপারিশ করা হয়। লগইন নিয়ন্ত্রণ করার কোনও নিয়ম নেই।'
মহুয়া আরও বলেন, 'এথিক্স কমিটি বিষয়টির মূলে না গিয়ে আমাকে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই ব্যবসায়ী কাউকে মৌখিকভাবে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করেছে এবং কোথাও কোনও উপহারের নগদ অর্থের কোন প্রমাণ নেই। বহিষ্কারের সুপারিশ শুধুমাত্র এই ভিত্তিতে করা হয়েছে যে, আমি আমার পোর্টাল লগইন শেয়ার করেছি। লগইন শেয়ারিং পরিচালনা করার জন্য কোন নিয়ম নেই।'
মহুয়া আরও বলেন, মোদী সরকার যদি ভেবে থাকে যে, 'আমাকে চুপ করিয়ে দিলে আদানি ইস্যু শেষ হয়ে যাবে তবে তা ভুল। আমায় এত দ্রুত বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত দেখায় যে, আমি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। একজন মহিলা সাংসদকে কতটা হেনস্থা করবেন?'
এদিকে, মহুয়া মৈত্রকে সংসদ সদস্যপদ থেকে অপসারণের প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর সংসদ ভবন থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধী সাংসদরা। লোকসভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছিলেন যে মহুয়া মৈত্রকে তাঁর পক্ষে সংসদে উপস্থাপন করার অনুমতি দেওয়া হোক।
স্পিকার ওম বিড়লা বলেছেন যে, সংসদ সদস্য হিসাবে মহুয়া মৈত্রের আচরণ অনৈতিক এবং অশোভন। তাই এমপি পদে থাকা তাঁর জন্য সঙ্গত নয়। তারপরই মহুয়াকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।