তৎপরতার সঙ্গে জঙ্গলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (Border Security Force) জওয়ানরা। ঘটনাটি ঘটেছে, মালদা জেলার হ্যাজেল জঙ্গল এলাকায় (Malda Forest Fire)। জওয়ানদের তৎপরতার একদিকে যেমন বিশাল পরিমান বনাঞ্চলকে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা গেছে, তেমনই বাচানো সম্ভব হয়েছে বনের প্রাণীদের।
৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে
জানা গিয়েছে, বুধবার হঠাৎই মালদা জেলার হ্যাজেল জঙ্গল এলাকায় বিশাল আগুন লেগে যায়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে, অনুরাধাপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার ১৭ জন জওয়ান এবং দমকল বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। দ্রুত শুরু হয় আগুন নেভানোর চেষ্টা। প্রায় চার ঘণ্টার নিরলস পরিশ্রম করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন জওয়ানরা।
বৃক্ষরোপন করে বিএসএফ
এই প্রসঙ্গে ৪৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার জানান যে, বিএসএফ (BSF) জওয়ানদের প্রচেষ্টায় বনাঞ্চলকে আরও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা গিয়েছে এবং ওই অঞ্চলের প্রাণী ও পাখিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিএসএফ সীমান্তে বৃক্ষরোপণ অভিযান চালায়, যার অধীনে প্রতি বছর হাজার হাজার নতুন জাতের গাছ লাগানো হয়। সেই বৃক্ষরোপন অভিযানটি জঙ্গলে বসবাসকারী পাখি এবং প্রাণীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করে।
এর আগেও জঙ্গলে লেগেছে আগুন
তবে রাজ্যে জঙ্গলে আগুনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে মেদিনীপুরের একাধিক জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের সিজুয়া, মুরাকাটা এলাকায় বেশকিছু জঙ্গলে আগুন লেগে যায় (Midnapore Forest Fire)। ক্রমে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে দেলুয়া এলাকাতেও। জঙ্গলের শুকনো পাতায় আগুন লাগার ফলেই সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা যায়। এমনকী বন ও বন্যপ্রাণ রক্ষায় জঙ্গলে আগুন রুখতে বাঁকুড়ার জয়পুরে (Bankura Joypur Forest) কড়া সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। নিয়মিত নজরদারি চালাতে সিসি ক্যামেরা, ড্রোন এবং উপগ্রহ চিত্রের সাহায্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
আরও পড়ুন - বাঁকুড়ায় শুভেন্দুর সভার অনুমতি দিল না পুলিশ, হাইকোর্টে যাচ্ছে BJP