শনিবার, ২৩ নভেম্বর রাজ্যের ছয় বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের অভাবনীয় সাফল্যের পর মালদহের তৃণমূল জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলে বিরোধীদের "দাঁত ভেঙে দেওয়া" এবং "জিভ ছিঁড়ে ফেলার" মতো হুমকি দিয়েছেন তিনি।
উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর মালদহের তৃণমূল কার্যালয়ে বিজয়োৎসব চলাকালীন আবদুর রহিম বক্সি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিরোধীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়ে ছ’টি আসন উপহার দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মালদহে যারা মমতা ব্যানার্জি বা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কথা বলবে, তাদের ৩২টা দাঁত ভেঙে দেব, জিভ ছিঁড়ে ফেলব।”
বক্সি আরও দাবি করেন, “লোকসভা নির্বাচনে মালদহে তৃণমূল দু’টি আসন হারালেও বিধানসভায় ১২টির মধ্যে ১২টি আসনেই জয়ী হবে তৃণমূল।” বক্সির বক্তব্যকে "অশিক্ষিত ও বাচাল" আখ্যা দিয়ে বিরোধী দলগুলি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জেলা সিপিএম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৌশিক মিশ্র বলেন, “বক্সি এর আগেও এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। উনি গণতন্ত্র বোঝেন না। বিরোধীদের সমালোচনা করার অধিকার আছে। ক্ষমতায় কেউ চিরকাল থাকে না। পালা বদল হলে তিনিও বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন কিনা, সেটা দেখতে হবে।”
দক্ষিণ মালদহ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, “তৃণমূলের সভাপতি শুধু বাচালতা করেন। তিনি সিকিউরিটি ছাড়া বাইরে বের হয়ে দেখুন, কে কতটা বাঘ সেটা বোঝা যাবে। ভারতবর্ষের সামগ্রিক রেজাল্ট দেখলে উনি এমন কথা বলতে পারবেন না।” বক্সির এই মন্তব্যে মালদহে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থেকে বিরোধী মতকে দমন করতে হুমকির পথ নিয়েছে।
বিরোধীদের মতে, আবদুর রহিম বক্সি অতীতেও এ ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তাদের অভিযোগ, বক্সি রাজনৈতিকভাবে অশিক্ষিত এবং দলবদলু রাজনীতিবিদ। বিরোধীদের মতে, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে থাকেন।
সংবাদদাতাঃ মিল্টন পাল