উত্তরবঙ্গের প্রতি 'বৈষম্যমূলক' আচরণ করছে কেন্দ্র। সিকিম এবং দার্জিলিং-এ সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাম্প্রতিক টুইটে, দার্জিলিং, কালিম্পং তথা উত্তরবঙ্গের প্রতি 'অবহেলা'র অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের নিন্দা করেছেন তিনি।
'সাম্প্রতিক বিপর্যয়ে সিকিমে আমাদের ভাই-বোনরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে এবং কালিম্পং-এও এর প্রভাব পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সংবেদনশীল 'চিকেন্স নেক' এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফ্ল্যাশফ্লাডের ঘটনার রাত থেকে, আমি কাজ করে চলেছি। জনগণকে আরও দুর্দশা থেকে বাঁচাতে প্রশাসন সাথে ২৪x৭ কাজ করে চলেছে। পাহাড়ে জিটিএ-কে ২৫ কোটি টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। মন্ত্রী এবং সিনিয়র আইএএস অফিসারদের পাঠানো হয়েছে। টিমগুলি এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছে।' টুইটে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'আমরা সেনা এবং সিকিম সরকারকে সব উপায়ে সাহায্য করেছি এবং করব। সিকিমের জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। কিন্তু দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্য দেখে আমি হতবাক। আমরা ভিক্ষা চাইছি না। আমরা অবশ্যই সিকিমের পক্ষে। তবে আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় সহায়তা সম্পর্কিত বিষয়ে সাম্য এবং বৈষম্যহীনতা চাই।'
আকস্মিক বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজের জন্য সিকিম সরকারকে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিকিমকে সাহায্য করার জন্য SDRF-এর কেন্দ্রীয় অংশ থেকে অগ্রিম হিসাবে ৪৪.৮ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছেন।
তবে, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার জন্য এই ধরনের কোনও সহায়তা ঘোষণা করা হয়নি।
শনিবার সিকিমের মাঙ্গান জেলার লাচেন এবং লাচুং-এ ৩,০০০-এরও বেশি পর্যটক আটকে পড়েছেন। শনিবার এই অঞ্চলে হড়পা বানের কারণে এবং সমস্ত রাস্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
বুধবার ভোররাতে উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদের উপর মেঘ ভেঙে বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এর ফলে আট সেনা সদস্য সহ ২৭ জন নিহত। ১৪১ জন নিখোঁজ।