'মাস্টার প্ল্যানে (Ghatal Master Plan) অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র', ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর এমনটাই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে ঘাটালে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি সরাসরি চলে যান ঘাটাল পুরসভার বন্যা কবলিত এলাকায়। জলে নেমে সরেজমিনে পরিস্থিতি পরিদর্শন তিনি। একইসঙ্গে স্থানীয় দুর্গতদের হাতে তুলে দেন ত্রাণ সামগ্রী।
কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রশাসনকে আরও কাজ করতে হবে, আরও ক্যাম্প করতে হবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বারবার বলা হচ্ছে। কিন্তু সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। কেন্দ্র কিছুতেই অনুমোদন দিচ্ছে না।' এই প্রসঙ্গে এলাকার সাংসদ দেব, মানস ভুঁইঞা, সৌমেন মহাপাত্র, জুন মালিয়া, হুমায়ুন কবীর, সহ অন্যান্য বিধায়কদের নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল গঠন করে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর নবান্নে ফিরে এই বিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন মমতা।
হচ্ছে ২,৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,'হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা, হুগলির খানাকুল ভেসে গিয়েছে। যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্যাটা বেশ খানিকটা পরিকল্পিত।' একইসঙ্গে ডিভিসির নিম্ন অববাহিকায় কাজের জন্য ২,৮০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলছে বলেও এদিন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অনেক চেক ড্যাম করা হয়েছে, যাতে জল সেখানে জমা হয়। তাছাড়া জল ধর জল ভর প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ৩ লক্ষ পুকুর কাটা হয়েছে বলেও এদিন জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সোমবার হেলিকপ্টারে করে ঝাড়গ্রামে যাওয়ার সময় আকাশপথেই হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তিনি। এর আগে একবার সড়কপথেও উদয়নারায়ণপুর ও আমতার প্লাবন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে ফোনে কথাও হয়েছে তাঁর।