আগামী মাসেই আবাস যোজনার টাকা দিতে শুরু করবে রাজ্য। বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস যোজনার টাকা কবে থেকে দেওয়া হবে, তার উল্লেখ্যও করলেন তিনি। আসুন, আবাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ১০টি পয়েন্টে জেনে নেওয়া যাক:
- 'অর্ধেক টাকা দেব আমরা, নাম কিনবে ওরা। একবারও জানতে চাইবে না রাজ্যের এটা করার ক্ষমতা আছে কিনা।'
- 'অনেক স্কিম করে ২ বছরের জন্য। রাজ্য হয় তো এর জন্য ৪০০ জন নিয়োগ করল। কিন্তু ২ বছর পর এরা যাবে কোথায়? অনেক কেস হয়েছে এমন।'
- 'আবাস যোজনার টাকা, কেন্দ্রকে তো টাকাটা খরচ করতে হবে, জিএসটি নিয়ে যাচ্ছে। আগে তো রাজ্যকে ভ্যাট কালেকশান করতে হত। কিন্তু এখন কেন্দ্র তো সব নিয়ে যাচ্ছে। ফলে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে মানেই সেটা কেন্দ্রের টাকা নয়। এটা রাজ্য থেকে নিয়েই রাজ্যের ভাগ।'
- 'মনে রাখবেন সেই টাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর নামে আবাস যোজনা করেছে। সেখানে ওরা দেয় ৬০ শতাংশ, আর রাজ্য দেয় ৪০ শতাংশ। নামটা হবে প্রধানমন্ত্রীর। কই মুখ্যমন্ত্রীর নামে তো আমি কোনও স্কিম করিনি। কাজে হবে পরিচয়। এমন কোনও সময় আসেনি, নামটা বড় মানুষদের নামে করো। বীর মানুষদের নামে করো। উন্নয়নের নামে করো। কিন্তু নিজের নামে করো, উন্নয়নের নামে প্রোগ্রাম, নো আই ডোন্ট সাপোর্ট।'
- 'একদিন না একদিন আমি এটাও চাই না, আমার মৃত্যুর পর আমার স্ট্যাচু তৈরি হোক। আমার মা-বাবার মৃত্যুর পরেও অনেকে বলেছিল তাঁদের নামে স্ট্যাচু করুন, ট্রাস্ট করুন, আমি করিনি।'
- 'আমাদের ৪০ পার্সেন্ট ছাড়াও আমরা এই বাকি টাকা পাই, সেটা আমাদের দেয়নি। বর্ষা হলে, বন্যা হলে বেচারা মাটির বাড়িগুলি ভেঙে যাচ্ছে। কেউ ইঁট গাঁথলে পাবে না, স্মার্টফোন থাকলে পাবে না। কীসব একটা লিস্ট আছে। ওদের একটা লিস্ট আছে।'
- 'এখনও আমি যা জানি, বাংলায় এখনও ৪০ লক্ষ মাটির বাড়ি আছে। অনেকে সার্ভের নামে একটা বাড়ির ইঁটের দেওয়াল দেখলে সেটা বাদ দিয়ে দেয়। একটা বাড়ি অর্ধেক ভাঙা, তাহলে অর্ধেক টাকাটা দাও।'
- 'আমি গ্রামে অনেক গিয়েছি, আমি গ্রামে খেলেছি, সাঁতার কেটেছি, গ্রামের আল দিয়ে গিয়েছি। তাই গ্রামের বিষয়টা আমি জানি।'
- 'প্রথম কিস্তির টাকাটা, ১১ লক্ষের জায়গায় আমি আরও ১ লক্ষ বাড়িয়ে দিয়েছি, কারণ দানা হয়েছে, বন্যা হয়েছে, সেই কারণে বাড়িয়ে ১২ লক্ষ করে দিয়েছি। সেই কারণেই আমাদের সরকার এই টাকা দিতে শুরু করবে। ১৫-৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই টাকাটা পেয়ে যাবেন। কারণ এর আগে ইলেকশন ছিল। সেই সময় করা যায় না। তাই কোনও ওই ৫ জেলায় দেওয়া হবে। সার্ভে করা হচ্ছে।'
- 'আবাস যোজনা হবে না। এটার নাম হবে বাংলার বাড়ি। এখনও তো বাংলার নাম দেয়নি। আসুন না আমরা কিছু প্রকল্পের মাধ্যমে করি।'