নবান্নের বৈঠকে পুর প্রশাসক এবং নেতা-মন্ত্রী-পুলিশের একাংশের কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সরকারি জমি দখল, পানীয় জলের অব্যবস্থা, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একের পর এক বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা।
এদিন বেশ কঠিন ভাষায় পুর প্রশাসনের ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের পারফরম্যান্সে যে তিনি মোটেও খুশি নন, তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। আসুন জেনে নেওয়া যাক তিনি ঠিক কী কী বলেছেন:
- অফিসিয়াল, পুলিশ, সবাই। একটা গ্রুপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই লোক বসিয়ে দিচ্ছে। বাংলার পরিচয় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আপনাদের টাকা খাওয়ার জন্য। জমি পাচ্ছেন, বেচে দিচ্ছেন, রাজ্য সরকারের জমি। 'ওয়ার্স্ট পারফরম্যান্স' মিউনিসিপালিটিগুলোর। কেন তৈরি হয়েছে জানি না।
- হাওড়াতে কেন এখনও সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই? জঞ্জালের ভ্যাটগুলো নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। রাস্তায় নোংরা চলে আসে ভ্যাট থেকে। যিনি দায়িত্বে আছেন, তিনি কী করছেন?
- ইচ্ছামতো টেন্ডার করছেন, নিজেরা খাচ্ছেন, কেউ খাচ্ছেন না, আমি জানি না। নিশ্চই দিয়ে-টিয়ে খাচ্ছেন। গ্যাং-আপ হয়ে গিয়েছে একটা। আমি সরি আমাকে এই কথাগুলো বলতে হচ্ছে। আমি মোটেও খুশি নই।
- হাওড়াটা রথীন ১২টা বাজিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছে।
- আপনারা কী করছেন? জমি দখল করছেন, ভ্যাটগুলো বাইরে থেকে নোংরা পড়ে থাকে, একবার লজ্জাও লাগে না। রাস্তাগুলো আমরা সারালে তবে সারাবেন, তাহলে আপনাদের টাকাগুলো যাচ্ছে কোথায়?
- বহু জায়গায় নোংরা জল মিশে যাচ্ছে। যারা টাকার দিকে বেশি উৎসাহী, তাদের মাথায় রাখতে হবে, মানুষের জীবনের থেকে বেশি দামি কিছু নয়। এটা লজ্জা, যে আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করছেন না।
- বড় বড় মাল্টিস্টোর কমপ্লেক্স তৈরি হয়ে যাচ্ছে, সরকারি জমি দখল করে। সরকার থেকে পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজনটুকু বোধ করছে না।
- কর্পোরেশন এই দায়িত্ব পালন করছে না, শুধু কর্পোরেশন বললে হবে না, মিউনিসিপালিটি দায়িত্ব পালন করছে না, শুধু ট্যাক্স বাড়ানো ছাড়া আর বিল্ডিং তৈরি করা ছাড়া আর লোক বসানো ছাড়া।
- হাতিবাগানটা কখনও তাকিয়ে দেখেছেন কী অবস্থা?
- সল্টলেক... আমার লজ্জা লাগছে। রাজারহাটেও শুরু হয়েছে এনক্রোচমেন্ট।
- কেন সল্টলেক কর্পোরেশনের কাউন্সিলররা কাজ করেন না? তাঁরা তো ইলেক্টেড বডি। কেন কাজ করে না আমি জিজ্ঞেস করছি। রাস্তা ঝাঁট দেয় না। এবার কি আমাকে রাস্তা ঝাঁট দিতে বেরতে হবে?