ব্যাপক বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) একাধিক জেলার বেশিকিছু নদী ফুঁসছে। ধসও নেমেছে বেশকিছু জায়গায়। এই অবস্থায় দার্জিলিং জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নবান্ন সূত্র যে খবর পাওয়া যাচ্ছে সেই অনুযায়ী, আগামী ২৪ তারিখ শিলিগুড়ি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৪ ও ২৫ থাকবেন শিলিগুড়িতেই। এই সময় উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকও রয়েছে তাঁর। এরপর ২৬ তারিখ কার্শিয়াং-এর যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৬ ও ২৭ তারিখ সেখানে থেকে ২৮ তারিখ কলকাতায় ফিরবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ধসের জেরে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন সিকিম এবং কালিম্পং-র যোগাযোগ ব্যবস্থা। নতুন করে ফের ধস ১০ নম্বর ও ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে। বন্ধ শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং-র একাংশের যোগাযোগ। জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে টানা বৃষ্টিতে কালিম্পং এবং দার্জিলিং জেলায় একাধিক জায়গাতে ধস নামে। তবে বুধবার যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রাস্তা পরিস্কার করা হলেও রাতে ফের কালিম্পং এবং সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। যার জেরে এই রাস্তায় যান চলাচল একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।
এছাড়াও কালিম্পংয়ের গরুবাথান ও দার্জিলিং-র বিজন বাড়িতে নতুন করে পাঁচ জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে কালিম্পং জেলা পুলিশের তরফে জাতীয় সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক সারাইয়ের কাজ শুরু করেছে জিটিএ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার প্রধান রাস্তা ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে কার্শিয়াং-র মহানদী এলাকাতেও নেমেছে ধস। যার ফলে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে ভুটান পাহাড়ে (Bhutan Hill) প্রবল বর্ষণের জেরে ভেসে গিয়েছে হলং নদীর সেতু। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কার সাফারি। এর জেরে বিপাকে পড়েছেন অনলাইনে টিকিট কেটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে কার সাফারি করতে যাওয়া দেশ-বিদেশের কয়েকশ পর্যটকরা। ভুটান পাহাড়ে অবিরাম ভারি বর্ষণের জরে জলদাপাড়ার হলং নদী সহ আলিপুরদুয়ারের একাধিক নদীতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। হলং নদীর প্রবল জলচ্ছ্বাসে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জলদাপাড়ারর ভিতর একশৃঙ্গ গণ্ডারের তৃণভূমির অধিকাংশ অংশ হলং নদীর জলের তলায় চলে গিয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে জলদাপাড়া বনদফতর। অন্যদিকে পাহাড় থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রীর গোয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২ দিনের সফর সেরে ৩০ তারিখ কলকাতায় ফেরার কথা রয়েছে তাঁর।