সকালবেলায় দার্জিলিং শহরের রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাঁটার সময় পদ্মজা নায়ডু জুলজিক্যাল পার্কের সামনে এসে থেমে যান তিনি। সেখানে সদ্য জন্ম নেওয়া দুটি তুষারচিতাকে দেখে আনন্দে মেতে ওঠেন মমতা। সঙ্গে সঙ্গেই সেই তুষার চিতার নামকরণ করেন তিনি, একটি তুষারচিতার নাম দেন ‘চার্মিং’ এবং অন্যটির নাম রাখেন ‘ডার্লিং’। মুখ্যমন্ত্রীর এই নামকরণে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ উচ্ছ্বসিত।
গত জুলাই মাসে পদ্মজা নায়ডু জুলজিক্যাল পার্কে ৬টি নতুন প্রাণীর জন্ম হয়, যার মধ্যে রয়েছে চারটি রেড পান্ডা এবং দু’টি তুষারচিতা। মা তুষারচিতা রাহালা এবং নাকা, তাঁদের এই দুই শাবকের জন্মের পর চিড়িয়াখানায় তুষারচিতার সংখ্যা বেড়ে ১১-এ দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, নতুন চারটি রেড পান্ডার জন্মের ফলে বর্তমানে রেড পান্ডার সংখ্যা ১৯। মুখ্যমন্ত্রী সেই চার রেড পান্ডারও নামকরণ করেন – ‘পাহাড়িয়া’, ‘ভিক্টরি’, ‘ড্রিম’ এবং ‘হিলি’।
দার্জিলিং চিড়িয়াখানা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের সংরক্ষণ এবং কৃত্রিম প্রজননের জন্য প্রসিদ্ধ। এখানে তুষারচিতা ও রেড পান্ডার পাশাপাশি হিমালয়ান নেকড়ে, টাকিন, হিমালয়ান নীল ভেড়া এবং হিমালয়ান থরও সফলভাবে প্রজনন করেছে। এই পদক্ষেপগুলো দার্জিলিং চিড়িয়াখানাকে এক অনন্য গৌরব এনে দিয়েছে।
পাহাড় সফরের সময়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগেও ব্যস্ত ছিলেন। ম্যালের একটি মার্কেট কমপ্লেক্সে ঘুরে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটা করেন এবং ছোটদের হাতে চকোলেট তুলে দেন। পাশাপাশি, তিনি জানান যে পাহাড়ে উন্নয়নের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রশাসনিক বৈঠকে পাহাড়ের উন্নয়ন বোর্ড পুনর্গঠন এবং মনিটরিং সেল চালু করার ঘোষণা করেন। এছাড়া, তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরির জন্য চারটি ‘স্কিল সেন্টার’ চালু করার পরিকল্পনার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।