জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে খুচরো দোকান, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে কাজে ছাড় দিল রাজ্য সরকার।
এদিন করোনা ও ভ্যাকসিন নিয়েও বেশকিছু তথ্য দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ১১৪ কোটি টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনবে রাজ্য সরকার। রাজ্যে ১ কোটি ৪১ লক্ষ মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪০ লক্ষ মানুষ। একইসঙ্গে টিকাকরণের পর নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা কাজে যোগ দিতে পারবেন বলেও এদিন জানান মমতা।
ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তথ্য দিতে গিয়ে মমতা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২.২১ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। পুনর্গঠনের কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যে সমস্ত জায়গায় ইয়াসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেইসব জায়গায় দুয়ারে ক্রাণের ক্যাম্প আয়োজন হবে। আর এই দুয়ারে ত্রাণের ক্যাম্পের জন্য আবেদন করতে হবে বিডিও ও এসডিওদের কাছে।
প্রতিবছর বন্যায় রাজ্যের মানুষ ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়ে। সেইদিকে নজর দিয়ে আরও ৫০০ ফ্লাড সেন্টার গড়ে তোলার জন্য় নীতি আয়োগের কাছে টাকা চাওয়া হবে বলে এদিন বৈঠকে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য নীতি আয়োগকে চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভরা কোটালের জল রয়ে গিয়েছে, তাই জল বাড়বে। সেচ দফতর যেন কথা না বলে জল না ছাড়ে। বৈঠকে নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইসময় জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও থানার আইসিদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিলেন মমতা।
ডেউচাপাটনির জন্য এখনই কোনও জমি নেওয়া হবে না। কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। যদি নিতে হয় তাহলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। আর স্থানীয় লোকজন চাকরি পাবেন। কেউ ভয় পাবেন না। প্ররোচনায় পা দেবেন না, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।