রাজ্যে চলছে প্রায় লকডাউন (Lockdown)। তার সময়সীমাও ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে। এবার তারই মাঝে খুচরো দোকানগুলিকে দৈনিক ৩ ঘণ্টা করে খোলার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। সোমবার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, আবেদনের ভিত্তিতে এবার থেকে খুচরো দোকানগুলিকে দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত খুলে রাখার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকেও ১০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজ চালানোর ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকার। অন্যদিকে নির্মাণকারী সংস্থাগুলি যদি তাঁদের কর্মীদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে তারাও কাজ চালিয়ে যেতে পারে বলে জানান মমতা। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব বিধি এবং পরতে হবে মাস্ক।
এছাড়াও টিকাকরণ (Vaccination) নিয়েও এদিন তথ্য তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৪১ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে কমপক্ষে ১.১ কোটিকে প্রথম ডোজ এবং ৪০ লক্ষকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি আরও জানান রাজ্য সরকার নিজেদের টাকায় ভ্যাকসিন কিনছে। মে মাসে প্রায় ১৮ লক্ষ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে এবং জুন মাসে আরও ২২ লক্ষ ভ্যাকসিন কেনা হবে। এরজন্য ১১৪ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া সুপার স্প্রেডার, অর্থাৎ যাঁরা বেশি মানুষের সংস্পর্শে আসেন, যেমন সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা, পরিবহণ কর্মীদের টিকাকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত এই ধরনের প্রায় ৯ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
অন্যদিকে দুয়ারে ত্রাণের ক্যাম্প কোন কোন জায়গায় হবে, এদিন তাও সবিস্তারে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন 'যশ (Cyclone Yaas), টর্নেডোর ফলে এবং জল ঢুকে যে সমস্ত ব্লক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেখানেই হবে 'দুয়ারে ত্রাণের' ক্যাম্প। আর তার জন্য নিজে হাতে আবেদন করে তা জমা দিতে হবে এসডিও ও বিডিও অফিসে। পাশাপাশি এই ধরনের ক্যাম্প কোনও গ্রাম সভা বা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পুরসভায় নয়, বরং স্কুল, কলেজের মতো ব্লিডিং-এ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।