রাজ্য পুলিশে ১২ হাজার নিয়োগের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার একথা জানান তিনি। শীঘ্রই ১২ হাজার নিয়োগ করা হবে। সোমবার এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাঁদের নিয়োগ করা হবে, তাঁরা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ডিউটি করবেন।
সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। নিরাপত্তায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি, সমালোচিত হয়েছে পুলিশ মহল। আরজি করকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মতো সরানো হয় কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে। এই প্রেক্ষাপটে নতুন করে পুলিশে ১২ হাজার নিয়োগের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার নবান্নে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ওই বৈঠক শেষেই মমতা জানিয়েছেন, রোগী কল্যাণ সমিতি নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তিনি জানালেন, এখন থেকে সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকবেন ওই হাসপাতালগুলির অধ্যক্ষরাই। অর্থাৎ, কোনও রাজনৈতিক নেতাকে আর কোনও রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে দেখা যাবে না। সমিতিতে কারা কারা থাকবেন, তা-ও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সমিতিতে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তারদের এক জন করে প্রতিনিধি থাকবেন। নার্সদের এক জন প্রতিনিধি থাকবেন। হাসপাতালের সুপারও এই সমিতির সদস্য হিসাবে থাকবেন। এ ছাড়াও থাকবেন এক জন করে জনপ্রতিনিধি। এত দিন রোগী কল্যাণ সমিতিগুলির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে জনপ্রতিনিধিরাই থাকতেন। স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদ ওই পদ পেতেন। সেই পদ্ধতিতে পরিবর্তন হচ্ছে। এছাড়াও একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কথা কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
রাজ্য সরকার পরিচালিত হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং সমস্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক প্রধানরা বৈঠকে ছিলেন। মমতা বলেন, 'যেমন আমি আগেই বলেছিলাম, হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষরাই সমস্ত নতুন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হবেন। সরকার পরিচালিত হাসপাতালের সমস্ত হস্টেলে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' পুজো নিয়েও যাঁরা আইনি পথে হেঁটেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, 'দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে কেউ কেউ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কিছু নির্দেশিকা আছে এবং আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা ১১২ ফুট লম্বা দুর্গাপুজো প্যান্ডেল হতে দিতে পারি না। যা মানুষের ভিড়ে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।'