রাজ্যের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত তৃণমূলের ভোটকুশলী হয়ে কাজ চালিয়ে যাবে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সংস্থা আইপ্যাক (I-PAC)। সূত্র মারফত মিলছে এমনটাই খবর। মূলত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপাতত কলকাতায় নিজেদের কাজ চালিয়ে যাবে আইপ্যাক।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ১৮টি আসন জয়ের পর ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেওয়ার পরেই তৃণমূলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে আলাদা আলাদভাবে বৈঠক শুরু করেন। জনসংযোগ বৃদ্ধির ওপরে বিশেষ জোর দেন তিনি। এছাড়া 'দিদিকে বলো', 'দুয়ারে সরকারের' মতো কর্মসূচিগুলিও তাঁরই মস্তিকপ্রসূত বলে খবর। ধীরে ধীরে তার সুফলও পেতে শুরু করে তৃণমূল। এমনকী তৃণমূলের এবারের বিপুল জয়ের পেছনে পিকে অন্যতম প্রধান কারীগর বলেও মনে করেন কেউ কেউ।
যদিও পিকে-কে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে অসন্তোষও দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সময়। পিকের (PK) কর্মপদ্ধতি মেনে নিতে না পেরে তৃণমূলের অনেক নেতাই কখনও সরাসরি, কখনও নাম না করে মুখ খুলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে। শীলভদ্র দত্তের মতো অনেক নেতা তো তৃণমূল ছাড়ার আগে সরাসরি পিকের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। লাগাতার অসন্তোষের জেরে একটা সময় পিকে-কে ভোটকুশলী হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত তৃণমূলে বুমেরাং হয়ে যাবে কি না, উঠতে শুরু করেছিল সেই প্রশ্নও। যদিও তাতে অবশ্য পিকের ওপরে আস্থা কমেনি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। পালটা পিকেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ১০০ পেরোবে না বিজেপির (BJP) আসন সংখ্যা। আর বাস্তবে ঘটলও তাই। ৭৭টি আসন জিতেই থামতে হল বিজেপিকে।
এবার সামনে ২০২৪-এর চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যেই জাতীয়স্তরে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কেই বারেবারে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তৃণমূল (TMC)। এমনকী বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিভিন্ন সময় দিল্লি জয়ের হুঙ্কার শোনা গিয়েছে মমতার গলাতেও। আর সেই কারণেই হয়ত ২০২১-এর সাফল্যের তৃণমূল চুক্তির মেয়াদ বাড়াল বলে মনে করছে রীজনৈতিকমহলের একাংশ।