দুই দিনের বিরতির পর রবিবার বাংলায় ফের শুরু হল ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। এদিন দুপুর ২টো থেকে কংগ্রেসের পদযাত্রা শুরু হয়। রাহুলের নেতৃত্বে এদিন জলপাইগুড়ির পিডব্লুডি মোড় থেকে পদযাত্রার সূচনা হয়। কংগ্রেসের পদযাত্রা ঘিরে এদিন চোখে পড়ার মতো উৎসাহ-ভিড় ছিল।
উল্লেখ্য, এদিন রাহুলের ন্যায় যাত্রার একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। তার মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ একটি পোস্টার ধরে আছেন এক তৃণমূল সমর্থক। লেখা, 'দিদি ফর পিএম'(প্রধানমন্ত্রী হবেন দিদি)।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যে একাই লড়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্ডিয়া জোট থেকে তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন কিনা, তা বলেননি। তবে রাজনৈতিক মহল ইতিমধ্যেই এই নিয়ে জল্পনা শুরু করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এর আগে জানান, রাজ্যে রাহুল গান্ধী আসছেন, তাতে তাঁকে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। যদিও কংগ্রেসের পক্ষে দাবি, একাধিক মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাহুলের পদযাত্রার বিষয়ে জানানো হয়েছে।
রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এর আগে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। তাতে পদযাত্রা চলাকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধীর প্রায় চার-পাঁচ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাবেন।
এরপর বিহারে যাবেন রাহুল গান্ধী
বাংলার পর আগামী ২৯ জানুয়ারি বিহারে পৌঁছাবে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। বাংলায় দুই দিনের পদযাত্রার পর বিহারের দিকে রওনা দেবেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, ৩০ জানুয়ারি রাতে আরারিয়া, পূর্ণিয়া এবং কিষাণগঞ্জ হয়ে পদযাত্রা পশ্চিমবঙ্গেই ফিরে আসবে। এরপর মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম হয়ে ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে রওনা দেবে। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় সম্পূর্ণ রাস্তা টানা হাঁটছেন না রাহুল। নির্দিষ্ট স্থান অনুযায়ী বাসে করে যাচ্ছেন। এরপর ৪-৫ কিলোমিটার করে পরিকল্পিত পদযাত্রা করছেন।