ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল চুঁচুড়ার খড়ুয়াবাজার সংলগ্ন লোহাপট্টি এলাকায়। মৃতের নাম দিলীপ রক্ষিত। বাড়ির উঠোন থেকে লেপ পেঁচানো অবস্থায় দিলীপবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া থানা পুলিশ। স্থানীয়দের অনুমান ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও ছেলে মিলে খুন করেছে তাঁকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সেচ দফতরের প্রাক্তন কর্মী ছিলেন দিলীপ রক্ষিত। স্থানীয়দের অভিযোগ, দিলীপবাবুর উপর বরাবর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করতো তাঁর স্ত্রী পদ্মা রক্ষিত ও ছেলে অভীক রক্ষিত। এমনকী স্ত্রী ও ছেলের অত্যাচারে তিনি কয়েকবছর ঘরছাড়াও ছিলেন। দিন দশেক আগে বাড়িতে ফেরেন তিনি। আর তারপরেই ঘটে গেল এই ঘটনা।
স্থানীয় সূত্র খবর, পচা দুর্গন্ধ পেয়ে চুঁচুড়া থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। যদিও চুঁচুড়া থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পরেই বিষয়টি বোঝা যাবে। তবে দেহটি বাড়িতে আটকে থাকা কথা স্বীকার করে নিয়েছে পুলিশ।