পুলিশের অস্ত্রাগার থেকেই অস্ত্র লুঠ করা হয়েছিল মণিপুরে। বিভিন্ন সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল এবং বিভিন্ন ক্যালিবারের ১৯ হাজারেরও বেশি বুলেট-সহ অস্ত্র চুরি হয়েছিল বলে প্রশাসন জানিয়েছে। সেখানকার বিষ্ণুপুর জেলার নারানসিনায় অবস্থিত ২য় ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের (IRB) সদর দফতর রয়েছে। ৩ মে চুরাচাঁদপুরের দিকে যাত্রা করার জন্য সেখানে উপজাতিদের একটি ভিড় জড়ো হয়েছিল। জাতিগত সংঘর্ষে নিহতদের গণকবর দেওয়ার পরিকল্পনা চলছিল।
লুঠ হয়েছিল একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি 'ঘাতক' রাইফেল, ১৯৫টি সেলফ-লোডিং রাইফেল, পাঁচটি এমপি-৫ বন্দুক, ১৬.৯ মিমি পিস্তল, ২৫টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ২১টি কারবাইন, ১২টি হ্যান্ড গ্রেনেড। ফলে। গণকবরের পর দ্বন্দ্ব-বিধ্বস্ত রাজ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর জেলার কাংভাই এবং ফৌগাকচাও এলাকায় সেনা ও আরএএফ কর্মীরা টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করার কারণে সংঘর্ষে ২৫ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। সমাবেশে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে প্রস্তাবিত সমাধিস্থলে যাওয়ার পথে মিছিল থামাতে ওই পদক্ষেপ করে পুলিশ।
সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় রাজ্যের রাজধানীতে অবস্থিত আরও দুটি অস্ত্রাগার লুট করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। মণিপুর হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত একটি শুনানিতে প্রস্তাবিত গণকবর স্থগিত করেছিল। যদিও কুকি সম্প্রদায় দাবি করেছিল যে, তারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পরে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছে।
৩ মে মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এবং ক'য়েকশ মানুষ আহত হন। মেইতি সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি (এসটি) দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি 'উপজাতি সংহতি মার্চ' সংগঠিত হওয়ার পরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।
মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ মেইটিস এবং বেশিরভাগ ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে। আদিবাসী-নাগা এবং কুকি ৪০ শতাংশের কিছু বেশি এবং পার্বত্য জেলাগুলিতে বসবাস করে।