সিপিআইএম-এর প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সন্দেশখালিতে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন সেখানকার মহিলারা। কিন্তু সিপিআইএম-এর তরফে তেমন ভাবে ঝাঁপাতে দেখা যাচ্ছিল না সন্দেশখালি ইস্যুতে। অবশেষে শনিবার সেখানে গেলেন বামের নয়া ক্যাপ্টেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যরা। রয়েছেন DYFI-এর রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহাও। সন্দেশখালির একাধিক গ্রামে গিয়ে কথা বলেছেন তাঁরা। এর আগে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হয়। যেকারণেই এদিন কোনও আগাম ঘোষণা ছাড়াই সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মীনাক্ষীরা।
জানা গেছে, নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছেন মীনাক্ষী। কথা বলেন ভূমিহীন কৃষক ও খেতমজুরদের সঙ্গেও যাদের জমি-ভেড়ি দখল নিয়েছে শেখ শাহজাহান বাহিনী। মীনাক্ষীর সন্দেশখালি পৌঁছনোর কোনও আগাম খবর ছিল না বসিরহাট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনীর কাছেও। তাই পুলিশের নজরে আসার আগে বিনা বাধাতেই বেশ কিছুটা ঘুরে ফেলেন তিনি। শাড়ি পরে মুখ হিজাবে ঢেকে ধামাখালি থেকে ভটভটিতে ওঠেন তিনি। পুলিশের কেউ মীনাক্ষীকে চিনতে পারেনি বলে খবর। সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত নিরাপদ সর্দারের বাড়িতে যান মীনাক্ষী। এরপরই পুলিশ আটকে দেয় মীনাক্ষীকে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এরপর বসিরহাটে পুলিশ সুপারের অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মীনাক্ষীরা।
গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, ২০১১ র পর থেকে ওই গ্রামে সিপিএমের পতাকা ওড়েনি। বহুবছর পর মীনাক্ষি পা রাখাতে সন্দেশখালির মাটিতে ফের উড়ল লাল পতাকা। এর আগেও একবার মীনাক্ষী সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সে-বার সফল হননি। পুলিশের বাধায় ফিরে যান ডিওয়াইএফআই নেত্রী।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি বাম নেত্রী বৃন্দা কারাতও পৌঁছে গিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। ধামাখালি পৌঁছতেই সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাতকে আটকায় পুলিশ। তবে, এরমধ্যেই পুলিশের ঘেরাটোপ এড়িয়ে গ্রামে পৌঁছে যান কয়েকজন সিপিএম কর্মী। ভিডিও কলে বৃন্দা কারাতের সঙ্গে কথা বলেন সন্দেশখালির মহিলারা। পরে গ্রামে ঢুকতে পারেন বৃন্দা কারাতও।