ভরদুপুরে ব্যাঙ্কে ডাকাতি। ঘটনাস্থল মালদার গাজোলের কেষ্টপুর। বুধবার দুপুরে ৮-১০ জনের দুষ্কৃতি সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দেয়। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুঠ করা হয় বলে অভিযোগ। ক্যাশিয়ারের পেটে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গুলিবিদ্ধ ক্যাশিয়ারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রায় ৪ লক্ষ টাকা লুঠ করা হয়েছে বলে অনুমান। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
এর আগে, মালদায় একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও ফের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে গাজোলের কেষ্টপুরে সমবায় ব্যাঙ্কে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হানা দেয় ৮-১০ জনের ডাকাত দল। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আচমকাই ব্যাঙ্কের সামনে একটি সাদা রঙের গাড়ি এসে দাঁড়ায়। তারপরেই ৮-১০ জন হাতে রিভলভার নিয়ে ব্যাঙ্কে ঢোকে। অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ক্যাশিয়ারের সঙ্গে ডাকাতদের ধস্তাধস্তি হয়। চাবি না দেওয়ায় ক্যাশিয়ারের পেটে গুলি করা হয়।
শেষে টাকা লুঠ করে বোমাবাজি করে এলাকা ছাড়ে ডাকাত দল। মালদায় বার বার ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।
গত কয়েক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। হাওড়ার ডোমজুড়েও ডাকাতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সব ক'টি ঘটনায় বিহার-ঝাড়খণ্ডের যোগ পাওয়া গিয়েছে। এর আগে, রাজ্যের বিভিন্ন সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বার বার ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
অন্য দিকে, বুধবার রাজ্যে আরও একটি অপরাধের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিলেন এক যুবক। যে বাড়িতে কাজে যোগ দিয়েছিলেন, সেই বাড়িরই এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল রাজমিস্ত্রির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্তের দাবি, ওই তরুণীরও ইচ্ছে ছিল। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন ধরে নির্যাতিতার বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দিয়েছিলেন এক যুবক। অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সেই সময়ই এক তরুণীকে ওই রাজমিস্ত্রি ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রি দাবি করেছেন, তরুণীর সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে।