Nawsad Siddique-Sandeshkhali Issue: সন্দেশখালি কাণ্ডে আদালতে জোড়া ধাক্কা রাজ্যের। জামিনে মুক্তি পেলেন ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। মঙ্গলবার সায়েন্স সিটির কাছে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার গত ৯ ফেব্রুয়ারি এফআইআরের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন। তিনিও আজই জামিনে মুক্তি পান।
এদিন নিরাপদ মামলায় মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ ১০ হাজার বন্ডের বিনিময়ে নিরাপদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। তাঁকে জেলে বন্দি রাখা যাবে না বলেও জানায় আদালত।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রশ্ন তোলে, "১৭ দিন হেফাজতে রয়েছেন নিরাপদ সর্দার। নিরাপদ সর্দারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে ৯ ফেব্রুয়ারি, আর পুলিশের কাছে অভিযোগ এসেছে ১০ ফেব্রুয়ারি। পুলিশ তো দারুণ কাজ করছে।"
সন্দেশখালি থেকে ৬২ কিলোমিটার আগে আজ গ্রেফতার হন নওশাদ। তাঁকে যেতে বাধা দেওয়া হয়। তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। জামিন পেয়ে বেরিয়ে নওশাদ বলেন, "১৩০ জনের জমি ফেরৎ দিয়েছে, ৪০০ মানুষের জমি কেড়ে রেখেছিল। অনেক মা-বোনদের ধর্ষিত করা হয়েছে। নওশাদ সিদ্দিকিকে নিয়ে অ্যালার্জি হচ্ছে। তাঁরা জানেন আমি গেলে সকলের সমস্যার কথা জানবেন। নওশাদ সিদ্দিকিকে যত আটকাবেন তত লড়াই বাড়বে। আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে বিধানসভায় আওয়াজ তুলব। বুদ্ধিজীবীদের পরিচয় গোপন করে গেছিলেন আমাদের সৌভাগ্য। নন্দীগ্রামের বুদ্ধিজীবীরা তো শীতঘুম দিচ্ছেন।"
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সায়েন্স সিটির কাছেই বিধায়ককে আটকায় পুলিশ। সায়েন্স সিটি এলাকায় ১৪৪ ধারা নেই। তাহলে কেন নওশাদকে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গে থাকা আইএসএফ প্রতিনিধি দল। পুলিশের সঙ্গে সেই মুহূর্তে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ বিধায়ক। নওশাদের পাল্টা দাবি, তিনি কোথাও জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেননি। এমনকি পুলিশের ব্যারিকেডও ভাঙেননি তিনি।