Advertisement

বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে পাহাড়ে মিছিল বের করল মোর্চা

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে পাহাড়ে মিছিল বের করল তাঁর দল। রবিবার দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় শান্তিমিছিলের ডাক দিয়েছিল মোর্চার যুব সংগঠন। বিমলপন্থীরাও পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়েছেন।

বিমল গুরুং (ফাইল ছবি)
Aajtak Bangla
  • দার্জিলিঙ,
  • 25 Oct 2020,
  • अपडेटेड 5:45 PM IST
  • বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে পাহাড়ে মিছিল
  • মোর্চার যুব সংগঠন আয়োজক
  • দার্জিলিংয়ে বিমলপন্থীদের পোস্টার

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে পাহাড়ে মিছিল বের করল তাঁর দল। রবিবার দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় শান্তিমিছিলের ডাক দিয়েছিল মোর্চার যুব সংগঠন। সেখান থেকে বার্তা দেওয়া হয়, যাঁরা পাহাড়ে অশান্তি ছড়াতে চান, তাঁরা যেন আর না ফেরেন। চকবাজারে শান্তি মিছিল বের করে মোর্চার বিনয় তামাঙ গোষ্ঠী। তবে বিমলপন্থীরাও পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
দিন কয়েক আগে ফের প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল বিমলকে। তিনি তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার কথা জানিয়েছিলেন। রবিবার তাঁর পাহাড়ে ফেরার কথা। মোর্চার বিমলপন্থী অংশ যে তাঁকে জায়গা ছেড়ে দেবে না, এদিনের কর্মসূচি সে কথাই জানিয়ে গেল বলে জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় গুরুং সমর্থকরা পোস্টার সাঁটিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে পাল্টা তাঁদের সঙ্গে বিনয় তামাং সমর্থদের কাটাকাটিও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
২১ অক্টোবর, বুধবার ৩ বছর পর প্রথম প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল বিমলকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মোর্চার আর এক নেতা রোশন গিরি। কলকাতার গোর্খা ভবনের সামনে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে সেখানে অপেক্ষা করার পর করুণাময়ীর দিকে রওনা হয়ে যান গুরুং। পরে কলকাতার এক হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। বিমল গুরুং জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র তাঁদের কথা না রাখলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যে কথা দিয়েছিলেন, তা রেখেছেন। তাই তিনি এনডিএ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করলেন। বিজেপির সঙ্গে তাঁদের সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। ২০২১ সালের ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁরা জোট তৈরি করবেন। এবং বিজেপিকে জবাব দেবেন। তিনি বলেছিলেন, 'আমার বলার মূল বিষয় হল, আমরা গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবি থেকে সরে আসিনি। এটা আমাদের লক্ষ্য, আমাদের চাহিদা। আমার তা পূরণে এগিয়ে যাব। ২০২৪ সালের ভোটে যে দল এটা সমর্থন করবে, আমরা তার পাশে থাকব।' তাঁর এই অবস্থানের সমালোচনা করেছিল বিজেপি।
২০১৭ সাল থেকে হন্যে হয়ে রাজ্য পুলিশ বিমল গুরুং, রোশন গিরি-সহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত মোর্চা নেতাকে খুঁজছিল। সেই সময় তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র মজুত করা-সহ একাধিক মামলা রুজু করা হয়। এরপরই দার্জিলিং ছেড়ে ফেরার হয়ে যান বিমল গুরুং, রোশন গিরি-সহ মোর্চার বেশ কিছু শীর্ষ নেতা। পুলিশের কাছে খবর ছিল, তাঁরা দার্জিলিং সংলগ্ন সিকিমের দিকে গা ঢাকা দিয়েছেন। এরপরই ২০১৭ সালের অক্টোবর পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে দার্জিলিং সংলগ্ন পাতলেবাসে বিমল গুরুংয়ের বাড়ি থেকে AK-47, ৯-এমএম পিস্তল ও বোমা তৈরির মশলা বাজেয়াপ্ত করে। বিমলপন্থীদের অভিযোগ ছিল, রাজ্য পুলিশ অভিসন্ধি করেই সেখানে ওই অস্ত্র রেখে তাদের ওপর দোষারোপ করছে।
জানা যায়, এরপরই সিকিম থেকে দার্জিলিঙে ঢোকার চেষ্টা করে বিমল গুরুং সহ একাধিক ফেরার নেতা। সেই সময় টাকভরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারায় এএসআই অমিতাভ মালিক। আহত হন আরও কয়েকজন পুলিসকর্মী। ফের গা ঢাকা দেন বিমল। এদিকে, সন্ত্রাস ছড়ানো ও পুলিশকর্মী হত্যার মতো গুরুতর ধারা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু করে রাজ্য সরকার।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement