Abhsihek Banerjee: দিল্লি থেকে ফিরেই কেন্দ্র সরকারে নয়া হুঁশিয়ারি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিল্লিতে যা ছিল তা ট্রেলার, এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে মিছিলের ঘোষণা অভিষেকের। আগামী দু'মাস পরই রাজধানীতে মিছিলে করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন দিল্লি থেকে ফেরেন অভিষেক সহ অন্যান্য সাংসদ, বিধায়কেরা। কলকাতা বিমানবন্দর পৌঁছে কেন্দ্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। বিরোধী শিবিরের দাবির পাল্টা জবাব দেন তিনি।
পাশাপাশি তাঁর এও হুঁশিয়ারি, "দিল্লিতে যা হয়েছে তা ছোট্ট ট্রেলার। আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল হবে দিল্লিতে।"
অভিষেক এদিন বলেন, "সেই দাবি নসাৎ করতে হলে কৃষিভবনের সিসিটিভির ফুটেজটি প্রকাশ করা উচিত। আমরা ৬টায় পৌঁছেছি, আমরা আলাদা করে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাই। তিনি ৬টা বলে সাড়ে ৬টায় পৌঁছন। কৃষিভবনে যখন ৪০ জন ঢুকেছিল, ডকুমেন্ট দেখেই ঢুকতে দেওয়া হয়। আমাদের দেড়-দু'ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান। আমরা সাড়ে ৮টায় জানতে পারি তিনি চলে গেছেন। আমাদের আড়াইঘণ্টা অপেক্ষা করাতে পারেন না। তাই সেখানেই আমরা বসে পড়ি।"
আরও বলেন, "সাংসদদের টেনেহিঁচড়ে বের করে দেওয়া হয়। ২০ লক্ষ পরিবারকে কাজ করিয়ে দু-তিন মাস মাইনে না দেওয়া অনৈতিক ও অবৈধ। সেখানে মোদী সরকার ২ বছর ধরে টাকা দেয়নি। ২০ লক্ষ লোকের ৮,০০০ কোটি টাকা গায়ের জোরে আটকে রেখেছেন। যদি অভিযোগ করেন ২০ লক্ষ লোক কাজ করেননি, তাহলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান। বিজেপির নেতারা বলছেন দুর্নীতি হয়েছে, তবে দু'বছরে এফআইআর হল না কেন? একশো দিনে নতুন বরাদ্দ করেননি, আবাস যোজনার টাকাও ছেড়েও দিলাম। ২০ লক্ষ লোককে কাজ করিয়ে কোন আইনে টাকা আটকে রেখেছেন?"
রাজ্যপালকে নিশানা অভিষেকের
কেন্দ্র সরকারের প্রতিনিধি রাজ্যপাল। তাঁর বিশাল জ্ঞান, তাঁর যতটা মনুষ্যত্ব আছে, তাতে দেখা উচিত যে বাংলার মানুষের ওপর দিল্লি পুলিশ কী অত্যাচার করেছে। আমরা কাল রাজভবন চলোর ডাক দিয়েছি। কাল আশা করব রাজ্যপাল আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন। আমারা একশো দিনের কর্মীদের চিঠি রাজ্যপালকে জমা দেব। রাজ্যপালকে তাঁর প্রশ্ন কেন্দ্র সরকারকে চিঠি লিখে জানান, ২০ লক্ষ লোককে কাজ করিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে কেন? এটি জমিদারি প্রথা। আমি আশা করব রাজ্যপাল বাংলার মানুষের হয়ে সদর্থক ভূমিকা পালন করবেন।