এবার থেকে তাঁত, মসলিন, বালুচরী বা জামদানি, সবই মিলবে সরকারি দোকানে। সরকার নির্ধারিত দামে। বাংলার তাঁত শিল্পকে আরও বেশি করে চাঙ্গা করতে আরও একটি ব্র্যান্ড বাজারে আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। নাম বাংলার শাড়ি (BANGLAR SAREE)। জেলায় জেলায় খুলবে এই বাংলার শাড়ি-র দোকান। তন্তুজ-তন্তুশ্রী বা মঞ্জুশ্রী-র পর এবার রাজ্য সরকারের নতুন ব্র্যান্ড বাংলার শাড়ি।
রাজ্যের প্রতিটি জেলায় শাড়ির দোকান খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। রাজ্যে বিভিন্ন শাড়ির প্রচারের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত তাঁর। বাংলার শাড়ি নাম দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। বৃহস্পতিবার MSME বিভাগের আধিকারিকদের প্রতিটি জেলায় ওই আউটলেট খুলতে বলেছেন।
তিনি বলেন, 'এই পদক্ষেপ তাঁতিদের তাদের পণ্য বিক্রি করতে সহায়তা করবে। রাজ্যের (WEST BENGAL) শাড়ি যেমন মসলিন, তাঁত, বালুচরী, জামদানি, ধনেখালি সিল্ক ইত্যাদি বিক্রি করার জন্য 'বাংলার শাড়ি' আউটলেট খুলুন। প্রতিটি জেলায় তাঁতিদের তাদের পণ্য বিক্রি করতে সহায়তা করার জন্য এমন একটি দোকান থাকা উচিত।'
মুখ্যমন্ত্রী মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজের প্রধান সচিব রাজীব পান্ডেকে 'বাংলার শাড়ি' আউটলেটগুলির জন্য পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, 'এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন। আমি আপনাকে এই বিষয়ে আরও ধারণার জন্য একটি কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেব। আগামী মরসুমে আপনাকে প্রতিটি মেলায় দিতে হবে।'
তাঁত থেকে সিল্ক, হ্যান্ডলুম, বাংলার তাঁতিদের তৈরি করা সব রকমের সুতি-সিল্কের সাড়ি নিয়ে জেলায় জেলায় পসরা সাজিয়ে বসবে এই 'বাংলার শাড়ি'। এর আগে বিশ্ববাংলা (BISWA BANGLA) নাম দিয়ে একটি প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বাংলার সব শিল্পকে তুলে ধরা হয়। মূলক কলকাতা শহরেই রয়েছে এই বিশ্ববাংলার বিভিন্ন আউটলেট। কিন্তু এবার বাংলার শাড়ির আউটলেট খোলা হবে জেলা জেলায়। সেখানে বাংলার মসলিন, মুর্শিদাবাদ, বিষ্ণুপুরের সিল্ক থেকে শুরু করে নদিয়া-শান্তিপুরের তাঁতের শাড়ি সবটাই বিক্রি করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই পরামর্শ তাঁকে দিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র (MAHUA MAITRA)। শাড়ি যেখানে তৈরি হয়, সেসব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কমিটিতে থাকবেন, মহুয়া মৈত্র, নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, পূর্ব বর্ধমানের স্বপন দেবনাথ, মুর্শিদাবাদের আবু তাহের, খলিলুর রহমান, জাকির হোসেন এবং ধনেখালির অসীমা পাত্র।