বিজেপির (BJP) থেকে তৃণমূলে 'ঘর ওয়াপসি'র পর প্রথমবার কৃষ্ণনগরে পা রাখলেন মুকুল রায়। রবিবার কৃষ্ণনগরের ভাতজাংলায় যান তিনি। সেখানে তাঁকে পুস্পস্তবক ও উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধনা জানান তৃণমূলের নেতা কর্মী সমর্থকেরা। এরপর শহরের একটি হোটেলে যান মুকুল। সেখানে তাঁর হাত ধরেই বিজেপি ছেড়ে বেশকিছু কর্মী সমর্থক তৃণমূলে (TMC) যোগদান করেন।
এদিন মুকুল বলেন, "অনেকদিন পর কৃষ্ণনগরে পা রাখলাম। কৃষ্ণনগরের মানুষ ভাল। কৃষ্ণনগরকে বহুদিন ধরে চিনি। এখানকার সার্বিক উন্নয়ন হোত, এটাই চাই।" তবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি মুকুল রায়কে।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর (Krishnanagar Uttar) কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে লড়াই করেছিলেন মুকুল রায়। তৃণমূল প্রার্থীকে বেশকিছু ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন মুকুল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দলবদল করে তৃণমূলে ফিরে যান তিনি। মুকুলের সঙ্গেই তৃণমূলে ফেরেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়ও। স্বভাবতই মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পরে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশকিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে এদিন অবশ্য কৃষ্ণনগরের উন্নয়নের পক্ষেই কথা বলেন মুকুল।
এদিকে মুকুল রায় (Mukul Roy) তৃণমূলে ফেরার পরেই ব্যাপক সরগরম হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। যার আঁচ পড়ে দিল্লিতেও। মুকুল ফেরার পরেই আরও বেশকয়েকজন নেতার তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা শুরু হয়। অন্যদিকে আবার মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় রয়েছে বিজেপিও। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছে গেরুয়া শিবির।