আবাস যোজনার ঘর নিয়ে এবার বিক্ষোভের মুখে আইসিডিএস কর্মী। ঘটনাস্থলে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার মহম্মদপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুলতানপুর এলাকা। আইসিডিএস কর্মীর বিরুদ্ধে আবাস যোজনার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পুলিশের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে গ্রামের শিশুদের পুষ্টিকর খাবার সংক্রান্ত কাজে যান সাবিনা খাতুন নামে ওই আইসিডিএস কর্মী। তখনই তাঁকে ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই আইসিডিএস কর্মী আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়, যাঁদের পাকা বাড়ি আছে তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেননি, আর যাঁরা প্রকৃত প্রাপক, অর্থাৎ যাঁদের নাম তালিকায় থাকা দরকার, তাঁদের নাম বাদ পড়েছে। আবাস যোজনার তালিকা তৈরিতে তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন গ্রামের মানুষ। আর তার জেরেই তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন সাবিনা খাতুন নামে ওই আইসিডিএস কর্মী। তিনি বলেন, যে ফর্মাটে তাঁদের ব্লক অফিস থেকে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছিল, তাঁরা সেই অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করে তা পঞ্চায়েত অফিসে জমা দিয়েছেন। এরপর বিশেষ গ্রাম সংসদ সভার মাধ্যমে সেই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। আর সেই চূড়ান্ত তালিকা তৈরিতে তাঁর কোনও হাত নেই। যদিও আইসিডিএস কর্মীর সেই দাবি মানতে নারাজ গ্রামবাসীরা।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভগবানগোলা থানার পুলিশ। এরপর পুলিশের তরফে সেই তালিকা পুনরায় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে শান্ত হন গ্রামবাসীরা। তারপরেই সেখান থেকে সাবিনা খাতুনকে বের করে নিয়ে আসে পুলিশ। এখন দেখার তালিকা সংশোধন না হলে গ্রামবাসীদের অভিযোগের আঁচ কতদূর পৌঁছায়।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিকের বাবার নাম আবাস যোজনার তালিকায় থাকায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও এই ঘটনায় পাল্টা তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন নিশিথ প্রামাণিক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁকে বদনাম করতেই যড়যন্ত্র করে তাঁর বাবার নাম আবাস যোজনার তালিকায় তুলেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন - কয়েকদিনেই ওজন ঝরায়, ওটস কীভাবে বানালে সুস্বাদু লাগে? রেসিপি