Junior Doctors: নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেন রাজ্য়ের মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত। চিকিৎসকদের সুরক্ষা-নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাঁরা ১০০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা করেন। আগামী সাতদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিন মুখ্যসচিব বলেন, "জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজে ফিরুক। ওদের ওপর আমাদের সহানুভূতি আছে। নিরাপত্তা বাড়াতে আমরা আরও সিসিটিভি, আলো, শৌচালয়ের ব্যবস্থা করছি। এর জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে যেখানে যেখানে সিসিটিভি, শৌচালয়ের ব্যবস্থা করার, তা করা হবে। যাতে তারা সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা দিতে পারে তা দেখা হচ্ছে। হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়ার বিষয়ে তা আামরা আরও শক্তিশালী করছি। ওদের যদি প্রয়োজন হয়, আরও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের যা যা কাজ করার দ্রুততার সঙ্গে করব। অনুরোধ করব যাতে ওরা সাধারণ মানুষকে আবার পরিষেবা দিতে পারে। আমরা অনুরোধ করছি যেন তারা কাজে ফেরেন। আশা করছি তাঁরা ফিরবেন।"
সোমবার নবান্ন সাংবাদিক বৈঠক করছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ছাড়াও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী এবং রাজ্য পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডিজি রাজীব কুমার, সিপি বীনিত গোয়েল উপস্থিত ছিলেন। এই নবান্নের সভাঘরেই সোমবার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংবাদিক বৈঠকে এদিন ব্রাত্য বসুও অনুরোধ করেন, মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে। পার্থ ভৌমিকের কথায়, "আজ নিয়ে ২৪ জন মারা গেল। যারা আপনাদের ভগবান মনে করেন, তাদের সঙ্গে ভগবানের মতো আচরণ করুন।"
এদিন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন রাজ্যকে বলেন, “উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে চিকিৎসকরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। নিরাপত্তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন যেন না থাকে। ডিস্ট্রিক্ট কালেকটর ও পুলিশ সুপারকে নজর রাখতে হবে হাসপাতালগুলিতে। সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করবে।”
প্রধান বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, পুরুষ ও মহিলা চিকিৎসকদের জন্য পৃথক ডিউটি রুম রাখতে হবে। আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে চিকিৎসকদের কাজে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এমনটাই জানান প্রধান বিচারপতি।