পঞ্চায়েত ভোটের আগে সমবায় সমিতির নির্বাচনে বামেদের জয়জয়কার। ঘটনাস্থল নদিয়ার তেহট্ট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তেহট্টের চাঁদেরঘাট সমবায় সমিতির ৪৯টি আসনের সবকটিই জিতে নিলেন আসনে সিপিআইএম সমর্থিত প্রার্থীরা। এই জয়ের পর লাল আবীর মেখে তা উদযাপন করতে দেখা যায় সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের। লাল ঝান্ডা হাতে নিয়ে মিছিলও বের হয়। এই জয়ের প্রেক্ষিতে সিপিআইএম-এর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে শাসকদল দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। এই অবস্থায় কোনও ভোটেই আর মানুষ তাদের উপর ভরসা রাখবে না। শাসকদল প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বলেও দাবি সিপিআইএম-এর।
জানা গিয়েছে, গত ১০ই ডিসেম্বর এই সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২৫ ডিসেম্বর। রবিবার ভোটের দিন নির্ধারিত হলেও তৃণমূল বা বিজেপি কেউই কোনও প্রার্থী না দেওয়ায় ৪৯টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী সিপিআইএম সমর্থিত প্রার্থীরা। এদিনই সমস্ত প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করে শংসাপত্র প্রদান করা হয়। এরপরেই বিজয় উৎসব পালন করে সিপিআইএম।
সমবায়ের ৪৯টা আসনের একটাতেও কেন প্রার্থী দিল না তৃণমূল? এই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের তেহট্ট- ১ নং ব্লকের সভাপতি বিশ্বরূপ রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ নিয়ে তাঁর কোনও বক্তব্য নেই। তৃণমূল যেমন প্রার্থী দেয়নি, তেমনই আরও একটি দলও তো প্রার্থী দেয়নি। সেক্ষেত্রে রাম-বাম এক হয়ে গেল কিনা সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি।
অন্যদিকে সমবায় সমিতির সদস্য শান্তনু মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, 'তৃণমূল অনেকরকমভাবেই ভোটটা করতে না দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ভোটের জায়গা যখন ঘোষণা হয়, তারপরও তারা কিছু লোককে টাকা পয়সা, ভয় দেখিয়ে প্রার্থী করার চেষ্টা করেছিল। কেউ রাজি হয়নি। তাই প্রার্থী দিতে পারেনি'। তাঁর আরও দাবি, 'এখানে তৃণমূলের অত্যাচার, পঞ্চায়েতে অনুন্নয়ন, মানুষ দেখছে'।
জয় পেয়েছিল বাঁশবেড়িয়াতেও
প্রসঙ্গত, গত মাসে হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির ভোটেও জয় পায় বামেরা। ইদ মহম্মদ হাই মাদ্রাসার পরিচলান সমিতির ভোটে মোট ৬টি আসনের সবকটি আসনেই জয়ী হয়েছিলেন বাম প্রার্থীরা। নির্বাচনে মোট ১,৩০৮ জন ভোটারের মধ্যে ৬৭৭ জন ভোট দিয়েছিলেন। ফলাফলে দেখা যায় প্রতিটি আসনেই জয়ী হয়েছেন বাম প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন - মঙ্গল মার্গী, দিন বদলাতে শুরু করে দিয়েছে ৪ রাশির; আপনি আছেন?