গত কয়েকদিন ধরে গ্রামের বহু মহিলা একই অভিযোগ করছেন। গ্রামের পুরুষেরাও বলছেন সে কথা। সন্দেশখালির রাতের মিটিং। গভীর রাতেরও বলা চলে। কী হত, সেই খোঁজ নিতে ইতিমধ্যেই গ্রাম ঘুরে এসেছেন রাজ্য ও জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। মহিলাদের মুখ থেকে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনেছে তফশিলী জাতি-উপজাতি কমিশনও। এবার সেই বিষয়টিতে মুখ খুললেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি।
আজ, শুক্রবার ভাঙ্গরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, 'আমাদের রাজ্যে সন্দেশখালিতে মেয়েদের ওপর যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে শুধু সন্দেশখালিতে না রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এরকম ঘটনা ঘটছে। ডায়মন্ড হারবারের একটা বিধানসভার আছে, যেখানে মাত্র সাত হাজার টাকার বিনিময়ে যৌন নিগ্রহ হয়। সময় পেলে ফ্যামিলিকে নিয়ে মিডিয়ার মুখোমুখি করব আমি। স্কুল স্টুডেন্টদের ওপর ও যৌন নিগ্রহ চালাচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা।'
এদিকে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকেও সন্দেশখালিতে ঢুকতে বাধা দিল পুলিশ। নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে শুক্রবার সকালে এই কমিটির সদস্যরা সন্দেশখালির গ্রামগুলি পরিদর্শনে আসেন। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। শুরু হয় বাক বিতণ্ডা। শেষমেশ রামপুরে রাস্তার উপরে বসে পড়েন তাঁরা।
বিজেপির প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, প্রতিমা ভৌমিক-সহ অন্যান্যরা। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা এবং সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোও রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত পলাতক শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ দুই তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরাকে গ্রেফতারের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।