Advertisement

Abhisekh Banerjee: 'নতুন বছরে নতুন তৃণমূল', রানাঘাটে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা অভিষেকের

ফের নতুন তৃণমূলের কথা বললেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এদিন রানাঘাটে সভায় তিনি বলেন, নতুন বছরে নতুন তৃণমূলকে দেখতে পাবেন। যদিও উনিশের ভোটে রানাঘাট আসন প্রায় দু’লক্ষ ভোটে হেরেছিল তৃণমূল। এদিন অভিষেক সভার শুরুতেই বলেন, তৃণমূল হেরেছিল দলেরই কয়েকজন লোকের জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অভিমান করে নয়, মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়েছিল স্থানীয় স্তরে দলের কিছু নেতার কাজকর্মে।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 17 Dec 2022,
  • अपडेटेड 5:38 PM IST
  • ফের নতুন তৃণমূলের কথা বললেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
  • এদিন রানাঘাটে সভায় তিনি বলেন, নতুন বছরে নতুন তৃণমূলকে দেখতে পাবেন।

ফের নতুন তৃণমূলের কথা বললেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এদিন রানাঘাটে সভায় তিনি বলেন, নতুন বছরে নতুন তৃণমূলকে দেখতে পাবেন। যদিও উনিশের ভোটে রানাঘাট আসন প্রায় দু’লক্ষ ভোটে হেরেছিল তৃণমূল। এদিন অভিষেক সভার শুরুতেই বলেন, তৃণমূল হেরেছিল দলেরই কয়েকজন লোকের জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অভিমান করে নয়, মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়েছিল স্থানীয় স্তরে দলের কিছু নেতার কাজকর্মে।

অভিষেক ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে প্রথম বলেছিলেন, ছমাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল নিয়ে আসবেন তিনি। সাধারণ মানুষ যে তৃণমূল দেখতে চান, তেমনই তৃণমূল তুলে ধরা হবে। এদিন তিনি রানাঘাটের সভা থেকে বলেন, মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। আপনারা বলুন কাকে আপনারা পঞ্চায়েতে দেখতে চান। আপনাদের কথা মেনেই আমরা কাজ করব। এরপর একটি মোবাইল নম্বরও দেন তিনি। 

নতুন তৃণমূল কেমন হবে ? জোড়াফুলের অনেকের মতে, দলে অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার বিন্যাস একটা ট্রানজিশন বা রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই যে দলের সাংগঠনিক পরিচালনের বারোআনাই এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে। অর্জুন সিংকে তৃণমূলে ফেরানো, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর দলীয় কৌশল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা, জেলা সভাপতি- ব্লক সভাপতিদের ডেকে বৈঠক— এসবেরই ঠিকানা এখন অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস। তৃণমূলে এটা নতুন ধারা বইকি।

এখন প্রশ্ন হল, নতুন তৃণমূলে আর কী হতে পারে?
শাসক দলের একাংশ নেতার মতে, তৃণমূলে একেবারে নিচুস্তর থেকে শুরু করে যে নেতারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন, যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, ক্রমশ তাঁদের অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়ার একটা ধারা শুরু হয়ে গিয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে তা আরও স্পষ্ট হতে পারে।

তা কীভাবে? 
দলের এই অংশের নেতাদের মতে, ব্লক সভাপতি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সেই সূত্রই মাথায় রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়াও এক প্রকার শুরু হয়ে গেছে। এলাকা ভিত্তিতে পরিচ্ছন্ন মুখ বাছাই করে রাখার জন্য তলে তলে সমীক্ষা চলছে। পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদে যাঁদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের এ বার টিকিট পাওয়া মুশকিল হতে পারে। শুধু তা নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এ বার বুথ দখল, বিরোধীদের প্রার্থী দিতে না দেওয়া হয়—এসবও এবার বন্ধ করতে বলা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, দলের কাছে এটা স্পষ্ট যে পঞ্চায়েত ভোটে এই আকচাআকচিই লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

Advertisement

আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে আসবেন শাহ-নাড্ডা? জানালেন সুকান্ত

অভিষেক গত কয়েক মাস ধরে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তৃণমূল করে খাওয়ার জায়গা নয়। ঠিকাদারি করলে তৃণমূল করা যাবে না। নেতা ধরে টিকিট পাওয়া যাবে না—ইত্যাদি।

তবে অনেকের মতে, কাজটা সহজ নয়। কারও কারও ক্ষেত্রে দল করাটা পেশার মতো। এলাকা ভিত্তিতে এমনই কিছু নেতাকে আশ্রয় করে আবার পরজীবীর মতো বেঁচে রয়েছে কিছু কর্মী। সেই বাস্তুতন্ত্রে রাতারাতি বদল আনতে গেলে প্রতিরোধ আসতে পারে। অভিষেকের নতুন তৃণমূল তা সামাল দিতে পারে কী না, তাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন- BSF ছাড়াও সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব রাজ্যেরও, নবান্ন-বৈঠকে অমিত শাহ

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement