বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। কমিটির প্রধান হয়েছেন কমিশনের সদস্য রাজীব জৈন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)-এর চেয়ারপার্সন, প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ মিশ্র এই কমিটি তৈরি করেছেন। একুশের ভোটের ফল প্রকাশের পর হিংসার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীদলগুলি।
কমিটির সদস্যরা হলেন-
১) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)-এর সদস্য রাজীব জৈন
২) জাতীয় সংখ্য়ালঘু কমিশনের সহ-সভপতি আতিফ রশিদ
৩) জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুলবেন এল দেশাই
৪) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)-এর ডিরেক্টর জেনারেল (তদন্ত) সন্তোষ মেহরা
৫) রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার প্রদীপকুমার পাঁজা
৬) রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির সদস্য-সচিব রাজু মুখোপাধ্য়ায়
৭) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)-এর ডিআইজি (তদন্ত) মঞ্জিল সৈনি
সোমবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে ঘরছাড়া নাগরিকদের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সনকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
শুক্রবার ১৮ জুন একটি মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি এদিন আদালতের তরফে রাজ্যেকেও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। আরও সতর্কতা ও উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানানো হাইকোর্টের তরফে।
এর আগে ৩১ মে একাধিক আবেদনের উপর ভিত্তি করে ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে কলকাতা হাইকোর্ট।
তিন সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য লিগাল সার্ভিস কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি।
যে সমস্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে ঘরে ফিরতে পারছেন না তাঁদের অবিলম্বে রাজ্য আইনি পরিষেবা সমিতির দায়িত্ব পালন করা লিগ্যাল এড সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটি পরে এদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় পুলিশ অফিসারের দিয়ে ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করবে।
ভোটের ফল প্রকাশের পরই রাজ্যে একের পর এক জায়গায় গোলমালের অভিযোগ উঠেছিল। বিভিন্ন জেলায় অশান্তি হচ্ছে বলে দাবি করছিল রাজনৈতিক দলগুলি। শাসক থেকে বিরোধী- বাদ যাচ্ছে না কেউই। রাজনৈতিক গোলমালের জেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হিংসার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারাও। তারা গোলমলের আশঙ্কা করেছিলেন। দেখা গিয়েছিল, তাঁদের আশঙ্কা সত্যি হয়েছে।