Advertisement

Central Cabinet Expansion : কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন নিশীথ-জন-শান্তনু-সুভাষ, ভাল ফলের পুরস্কার?

এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে সেই অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা, শান্তনু ঠাকুর ও সুভাষ সরকার। কিন্তু হঠাৎ করে বাংলা থেকে এই চারজনকেই কেন বেছে নেওয়া হল? এক্ষেত্রে রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে হয়ত বিধানসভা নির্বাচনে নিজ নিজ এলাকায় দলকে ভাল ফল এনে দেওয়ার পুরস্কার স্বরূপই মন্ত্রী করা হচ্ছে এই ৪ জনকে। 

জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার (বামদিক থেকে)
প্রীতম ব্যানার্জী
  • দিল্লি,
  • 07 Jul 2021,
  • अपडेटेड 5:01 PM IST
  • বাংলা থেকে মন্ত্রী হচ্ছেন ৪ জন
  • বিধানসভায় ভাল ফলের পুরস্কার?
  • প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিকমহলে

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় বড়সড় রদবদল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) এবারের মন্ত্রিসভায় থাকতে পারে বেশকিছু নতুন মুখ। সেখানে বাংলা থেকে বেশকয়েকটি নতুন মুখ থাকারও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে সেই অনুযায়ী, মোদীর মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা, শান্তনু ঠাকুর ও সুভাষ সরকার। কিন্তু হঠাৎ করে বাংলা থেকে এই চারজনকেই কেন বেছে নেওয়া হল? এক্ষেত্রে রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে হয়ত বিধানসভা নির্বাচনে নিজ নিজ এলাকায় দলকে ভাল ফল এনে দেওয়ার পুরস্কার স্বরূপই মন্ত্রী করা হচ্ছে এই ৪ জনকে। 

নিশীথ প্রামাণিক
রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভার মধ্যে শুধুমাত্র সিতাইতেই জিতেছে তৃণমূল। বাকি কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, দিনহাটা, মাথাভাঙ্গা, শীতলকুচি এবং নাটাবাড়ি কেন্দ্রের দখল নিয়েছে বিজেপি (BJP)। কোচবিহারের সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনে দিনবিধাহাটা কেন্দ্রে লড়াই করে ফের জিতেছেন নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। আর তাঁর লোকসভা কেন্দ্রেও ভাল ফল করেছে দল। সেইদিক থেকে দেখতে গেলে নিশীথ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গুড বুকে ছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। 

জন বার্লা
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যে সমস্ত এলাকায় ভাল ফল করেছে তার অন্যতম আলিপুরদুয়ার। জেলার সবকটি আসনে জয়ের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের নিরিখেও প্রতিটি বিধানসভায় জিতেছে গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ জন বার্লার (John Barla) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কালচিনি, কুমারগ্রাম, ফালাকাটা, মাদারিহাট, আলিপুরদুয়ার, তুফানগঞ্জ ও নাগড়াকাটা, এই সবকটি আসনেই ফুটেছে পদ্ম। এই ফলাফল স্বভাবতই জন বার্লাকে মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

শান্তনু ঠাকুর
সিএএ লাগু না হওয়ায় ক্ষোভ থাকলেও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে নিরাশ করেননি মতুয়ারা। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভার মধ্যে ৬টিতেই জিতেছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ, বাগদা, গাইঘাটা, কল্যাণী ও হরিণঘাটা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে গেরুয়া ব্রিগেডে। শুধুমাত্র স্বরূপনগর আসনের দখল নিয়েছে তৃণমূল (TMC)। ওয়াকিবহালমহল মনে করছে, একদিকে যেমন নিজ এলাকায় ভাল ফলের পুরস্কার, অন্যদিকে তেমনই মতুয়া সম্প্রদায়ের মন জয়ের জন্যই বেছে নেওয়া হল শান্তনু ঠাকুরকে (Shantanu Thakur)।

Advertisement

সুভাষ সরকার
নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা ও শান্তনু ঠাকুরের মতো না হলেও, সুভাষ সরকারের (Subhas Sarkar) বাঁকুড়া লোকসভা এলাকাতেও খুব একটা খারাপ ফল করেনি বিজেপি। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শালতোড়া, ছাতনা, বাঁকুড়া ও রঘুনাথপুরে জিতেছে গেরুয়া শিবির। অপরদিকে রানিবাঁধ, রাইপুর ও তালড্যাংড়ায় জয় পেয়েছে তৃণমূল। এছাড়া এবারের মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বিজেপি। আর সেইদিক থেকে দেখতে গেলে সুভাষ সরকার নিজে একজন চিকিৎসক। সেক্ষেত্রে হয়ত নিজের লোকসভা এলাকায় ভোটের ফলাফল ও শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন সুভাষ সরকার। 


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement