Onion Price Hike: কলকাতায় ফের বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম। শুধু কলকাতা নয়, গোটা ভারতেই বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঈদের আগে ভারত বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কলকাতায় পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা কেজির আশপাশে ছিল। তা বেড়ে কোথাও ৩৫, কোথাও ৪০-এও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
আপাতত দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।
রমজান মাস শুরু হবে আগামী ১০ মার্চ। শেষ রোজা হবে ৯ এপ্রিল। এই সময় পর্যন্ত ভারতের পেঁয়াজ যাবে ওপার বাংলায়। ফলে দাম আরও চড়তে পারে।
বাংলায় মূলত আসে নাসিকের পেঁয়াজ। রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ওঠায় হু হু করে বাড়ছে দাম। ঈদের আগে বাংলাদেশে এছাড়াও, আরও প্রতিবেশী দেশগুলিতে পেঁয়াজ পাঠাবে ভারত। ইতিমধ্যে ৪ টাকা করে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের রফতানি ব্যবসায়ীরা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পরিমাণ পিঁয়াজ বাংলাদেশে পাঠাতে পারবে। এছাড়া আরও যে সব দেশে পিঁয়াজ রফতানি করা হবে তার মধ্যে রয়েছে, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন ও মরিশাস।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার একটি বড় সিদ্ধান্ত নেয়। এর আওতায় পেঁয়াজ রপ্তানির উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে মন্ত্রীদের কমিটি পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেয়। দেশে পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য, সরকার এর রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল। আগামী ৩১ মার্চ, ২০২৪-এর সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল, তবে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তবে নির্বাচনের আগে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়তে থাকলে ভোটব্যাঙ্কে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সরকার ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে
ভারতে পেঁয়াজের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানিকারক, পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে দাম বৃদ্ধির মধ্যে, সরকারও জনগণের কাছে সস্তা পেঁয়াজ বিক্রির পদক্ষেপ নিয়েছিল। বাফার স্টক থেকে পেঁয়াজ প্রতি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। পেঁয়াজের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং আকাশছোঁয়া দামের কারণে কেন্দ্র সরকার গত ৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের এই বিষয়ে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, এই নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত জারি করা হয়। পেঁয়াজের দাম প্রবল বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের প্রচেষ্টায় এর দাম কমতে থাকে।