আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে বিক্ষোভ অব্যাহত। আজ সরকারি হাসপাতালগুলিতে বন্ধ আউটডোর বিভাগ। স্তব্ধ কলকাতা ও জেলার হাসপাতালগুলি। এরই মধ্যে বুধবার কন্যাশ্রী দিবস পালন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে কন্যাশ্রী দিবস পালন করা নিয়ে সোজাসুজি নিশানা করেন শুভেন্দু।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু এদিন বলেন, "আমরা তিন জায়গায় যাব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি প্রত্যক্ষ করলাম এত ঘটনা ঘটছে আমাদের এই বোনকে নিয়ে। এই বোনের জন্য আজ রাজ্যজুড়ে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রতীকী ধর্মঘটে গেছেন। আমি কৃতজ্ঞ যএ বেসরকারি হাসপাতেল ডাক্তাররাও আউটডোর করছেন না। আজ সমস্ত চিকিৎসামন্ডলী এক সূত্রে গেঁথেছেন। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও লাজ-লজ্জা নেই। আজ কন্যশ্রী দিবস। নিশ্চই এই তারিখ পরিবর্তন করা যায় না। আজ আমাদের বোনের জন্য উৎসব বন্ধ করতে পারতেন। এই উৎসবে লজ্জাশরম ছেড়ে মন্ত্রী শশী পাঁজারও অংশগ্রহণ করেন। আজ তিনি ৩,০০০ জনের উৎসব করছেন ধনধান্যে স্টেডিয়ামে। আজ ৩,০০০ প্যাকেট বিরিয়ানি খাওয়ানো হবে মেনু ঠিক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, চিকেন বিরিয়ানি। ভাবুন কোন রাজ্যে আমরা বসবাস করছি। এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই।"
তাঁর আরও দাবি, "একদিকে মানুষ কাঁদছে। মহিলারা আতঙ্কিত। আমি কয়েক জন বিশিষ্ট মহিরা পোস্ট দেখছিলাম, আজও এক লেখিকার পোস্ট দেখলাম, তিনি কিছুদিন আগে বইমেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন। সকলেই এর বিরোধিতা করছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। লড়াই চলবে। এই লড়াই একদিনের নয়, যতদিন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করছেন। বিষয়টা সরকারের বিরুদ্ধে। সরকারের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। বাড়িতে এটি ঘটেনি। ঘটেছে রক্ষকই যেখানে ভক্ষক সেখানে। এর দায়দায়িত্ব স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ দফতরের।"
পাশাপাশি আজ রাত জাগার কর্মসূচীতে রাজনীতির রং লাগাতে নারাজ, তাই রাতে থাকবেন না শুভেন্দু বলে জানান। বুধবার, সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় ধৃত সঞ্জয় রায়কে। কেস ডায়েরির পর সঞ্জয়কেও হস্তান্তর করে কলকাতা পুলিশ। আজ তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন CBI আধিকারিকেরা।