প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শিল্পকলা, শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, অভিনয়, চিকিৎসা, সমাজসেবা এবং জনসাধারণ বিষয়ক ব্যক্তিরা ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেয়েছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে বরাবরের মতো পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। বৈজয়ন্তীমালা, চিরঞ্জীবী, মিঠুন চক্রবর্তী, গায়িকা ঊষা উথুপ এবং সুরকার প্যারেলাল শর্মা এই বছরের ১৩২ জন পুরস্কার প্রাপকের মধ্যে রয়েছেন।
এ বছর পদ্ম সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে বেশ কয়েকজন বাঙালিকে। পদ্মভূষণ পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী, ঊষা উথুপ। মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর অভিনয় এবং অভিনয় জগতে অবদানের জন্য এই পুরস্কার পাচ্ছেন। এছাড়াও মরণোত্তর পদ্মভূষণ পাচ্ছেন সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। পাবলিক অ্যাফেয়ারের জন্য এই পুরস্কার পাচ্ছেন সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন ছৌ নৃত্যের জন্য মুখোশ তৈরির কারিগর নেপালচন্দ্র সূত্রধর। ২০২৩ সালে তাঁর প্রয়াণ হয়। তাই তাঁকে মরণোত্তর এই সম্মান জানানো হচ্ছে। ৭৮ বছর বয়সে পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন বাংলার গাছ দাদু। পুরুলিয়ার সিন্দ্রি গ্রামের বাসিন্দা দুখু মাঝি প্রায় পাঁচ হাজার গাছ লাগিয়েছেন। গাছ লাগানো তাঁর জীবনের নেশা। তাঁর এই কাজকে সম্মান জানিয়েছে দেশ।
এছাড়াও ভাদু শিল্পী রতন কাহারকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। 'বড়লোকের বিটি লো' গান খ্যাত এই সংগীত শিল্পী লোকগীতির জন্য পরিচিত লাভ করেছেন। অনেক আগেই তাঁর সম্মান পাওয়া উচিত ছিল বলে অনেকেই মনে করেন। এ ছাড়াও বাংলা থেকে পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন ৬৮ বছর বয়সী শিল্পী সনাতন রুদ্র পাল। বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য এই পশ্চিমবঙ্গ থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার পাচ্ছেন দুজন, তাঁরা হলেন নারায়ন চক্রবর্তী এবং একলব্য শর্মা। পদ্মশ্রী প্রপাপকদের তালিকায় নাম আছে জনপ্রিয় শিল্পী সনাতন রুদ্র পালের। তাঁর হাতের তৈরি প্রতিমা বিখ্যাত। তাকদিরা বেগম এবং গীতা রায় বর্মনও তাঁদের শিল্পের জন্য এই বিশেষ পুরস্কারে সম্মানিত হতে চলেছেন। এছাড়াও পদ্মশ্রী পাচ্ছেন আরেক বাঙালি, বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।