পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা হতেই ভাঙড়ে অশান্তির ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। মঙ্গলবারও সেই পরিস্থিতি পাল্টালো না। ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম সম্প্রতি তৃণমূল কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন 'মারপিটের দরকার নেই।' তবে চিত্র পাল্টালো না ভাঙড়ের। এদিনও মনোনয়ন পর্ব চলাকালীন ভাঙড়ে ফের অশান্তির খবর পাওয়া গেল। ভাঙড় ২ বিডিও অফিসের অদূরে পুলিশকে লক্ষ্য করে পড়ল বোমা। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেই শতাধিক বোমা পড়েছে বলে অভিযোগ। সেইসঙ্গে ৭ রাউন্ড গুলিও চলেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মীর আহত হওয়ার খবরও সামনে এসেছে। গোটা ঘটনায়ে জেলার এসপি ও ডিএমকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
এদিকে সোমবার রাতে চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কর্মী কুতুবউদ্দিন আলি মোল্লার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ও ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীরে নিজেরা বোমাবাজি করে আইএসএফ-এর ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে, পাল্টা অভিযোগ করেছে নৌশাদ সিদ্দিকি। তাদের পঞ্চায়েত প্রার্থীকে লক্ষ্য করে তৃণমূল গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে আইএসএফ-এর।
প্রসঙ্গত, ভাঙড়ে অশান্তির আবহেই আজ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে মনোনয়ন জমা দিতে যান আইএসএফ প্রার্থীরা। গতকাল ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে জড়ো হন তৃণমূল কর্মীরা, উত্তেজনা তৈরি হয় । আইএসএফ প্রার্থী আসমা খাতুন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন । শেষে বিডিও অফিসের পিছনের গেটের তালা ভেঙে আসমা-সহ কয়েকজন আইএসএফ প্রার্থীকে বের করে পুলিশ । অশান্তি রুখতে এদিন আগেভাগে প্রস্তুত ছিল পুলিশ । ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক অফিসের চারদিকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয় । তাতেও অবশ্য অশান্তি থামান যায়নি। দলীয় প্রার্থীদের কে সঙ্গে নিয়ে ভাঙড় দুই বিডিও অফিসের উদ্দেশ্যে নওশাদ সিদ্দিকী রওনা দিতেই শুরু হয় বোমাবাজি। আইএসএফ-এর অভিযোগ মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে শাসকদল।