স্বাধীনতার শতবর্ষে কী হতে পারে বিশ্বভারতীর (Visvabharati vision document) ভিশন ডকুমেন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সেই লক্ষ্য় বাতলে দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। আপাতত বিশ্ববিদ্যায়কে ২৫ লক্ষ্য় স্থির করতে বললেন তিনি। কী রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ভিশন ডকুমেন্টে ?
মোদীর ভিশনে বিশ্বভারতী
এদিন বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামরাজ্য় গ্রাম স্বরাজের কথা বলেছিলেন মহাত্মা গান্ধি। আপনারা গ্রামের দত্তক নিয়ে তাদের আত্মনির্ভর করার চেষ্টা করুন। বিশ্বভারতী বোলপুরের সশক্তিকরণের একটা কেন্দ্রস্থল। সেখানে দাঁড়িয়ে অঞ্চলের পূর্ণ বিকাশের দিকে নজর দিন। গ্রামে যা উৎপন্ন হয় তাকে আন্তর্জাতিক করে তুলুন। আপনাদের হাতে ২৫ বছর রয়েছে।
স্বার্থ দেখলে চারিদিকে শুধু সমস্যাই চোখে পড়বে
এই বলেই থেমে থাকেননি প্রধানমন্ত্রী। এদিন বিশ্বভারতীর সমাবেশে ভার্চুয়ালি মোদী বলেন, সমস্যার কারণ হবেন না সমাধানের ? তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যুব প্রজন্মকে। শুধু স্বার্থ দেখলে চারিদিকে শুধু সমস্যাই চোখে পড়বে। দেশকে অগ্রাধিকার দিলে আপনিই সমাধান খুঁজে পাবেন। যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা চলে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনি আর যুব নেই। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য় সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে। কবিগুরু যে ধন আমাদের দিয়ে গেছেন, তা আমাদের প্রেরণা দেয়। বর্তমানে দেশের শিক্ষনীতি আত্মনির্ভর ভারত গড়তে ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য় করবে। ছাত্রীরাও ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে কারিগরি শিক্ষা নিতে পারবেন। গবেষণার জন্য় ৫ বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
মোদীর মতে, কেমন ছিল দেশের শিক্ষাব্যবস্থা
মোদীর কথায়, অতীতে বাংলা ও বিহারে শিক্ষাব্য়বস্থা বেশ ভালো ছিল। পরবর্তীকালে ইংরেজরা আমাদের শিক্ষা ব্য়বস্থার ওপর নিজেদের চিন্তাধারা আরোপ করেন। ২০০ বছর আগে ভারতের শিক্ষার মান ছিল অনেক ভালো। তখন মন্দির থেকে শিক্ষা দেওয়া হত। ভারতের সাক্ষরতা গড় অনেক ভালো ছিল। সব গ্রামে একাধিক গুরুকূল ছিল। সেই ধারাই বজায় রেখেছিলেন গুরুদেব। যা পরবর্তীকালে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য় করে।