বাঁকুড়ার সিমলাপালে (Bankura Simlapal) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দিল না পুলিশ। যার হইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি (BJP)। পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েও না মেলার অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। প্রসঙ্গত, এর আগেও বিরোধী দলনেতার সভার অনুমতি দেওয়া নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ উঠেছে।
এই প্রসঙ্গে বুধবার রাতে বাঁকুড়া জেলা বিজেপি সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুলিশের অনুমতি না মেলায় সিমলাপালে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পূর্ব নির্ধারিত সভা বাতিল করা হয়েছে। আজই বিকেলে সিমলাপাল রাজবাড়ি মাঠে সভা করার কথা ছিল নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেই মতো সমস্ত প্রচার ও প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না মেলায় শেষ পর্যন্ত তা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোও। তিনি বলেন, "পুলিশের এখন প্রধান কাজ বিজেপিকে আটকানো। বিজেপির কর্মসূচী দেখে এই রাজ্যের শাসক দল আতঙ্কিত। তাই পুলিশ নিজস্ব কাজ না করে বিজেপিকে আটকাতে চাইছে। রাজ্যের মানুষ সব দেখছেন, আগামী দিনে এর প্রভাব পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে"।
যদিও বিজেপির এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বরং বিজেপি বিষয়টিকে জোর করে ইস্যু করতে চাইছে বলেই দাবি ঘাসফুল শিবিরের। এই বিষয়ে সিমলাপালের ব্লক তৃণমূল সভাপতি সংবাদমাধ্যকে বলেন, "লোক হবে না বুঝতে পেরেই তড়িঘড়ি বিজেপি সভা বাতিল করেছে। শুভেন্দু অধিকারী এলেই বুঝতে পারতেন সিমলাপাল এলাকায় তাঁর দলের জনভিত্তি কতোটা। পুলিশের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি বলে বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে"। প্রসঙ্গত এবারই প্রথম নয়, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত এপ্রিল মাসে শুভেন্দু অধিকারীর চন্দ্রকোনার সভার অনুমতি নিয়েও তৈরি হয়েছিল জটিলতা। পরে শর্তসাপেক্ষে সেই সভা করার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন - 'Mocha' আজ রাতেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে, প্রস্তুত জেলা প্রশাসন