Advertisement

Nadia Incident: সকালে আত্মহত্যা চাকদার রেলকর্মীর, সন্ধেয় মিলল স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ; রহস্য!

সকালে রেললাইন থেকে উদ্ধার স্বামীর দেহ। এরপর সন্ধ্যায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল স্ত্রীর দেহ। স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার চাকদা থানার রথতলা এলাকায়।

পারিবারিক বিবাদে চাকদায় আত্মঘাতী রেলকর্মী?
বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
  • চাকদা,
  • 17 Apr 2022,
  • अपडेटेड 12:21 PM IST
  • সকালে রেললাইন থেকে উদ্ধার স্বামীর দেহ
  • এরপর সন্ধ্যায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল স্ত্রীর দেহ
  • স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার চাকদা থানার রথতলা এলাকায়

সকালে রেললাইন থেকে উদ্ধার স্বামীর দেহ। এরপর সন্ধ্যায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল স্ত্রীর দেহ। স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে  নদিয়ার চাকদা থানার রথতলা এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম দেবাশিস রায়(৩৭)। মৃত স্ত্রীর নাম বর্ণালী রায় (২৩)। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই উত্তর ২৪ পরগনার পাল্লা গ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস  রায়ের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় চাকদা নারকেলডাঙ্গার বর্ণালী ঘোষের। দেবাশীষ রায় কেলের কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপে চাকরি করতেন।

অভিযোগ, স্বামী দেবাশিস রায় স্ত্রীকে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে রাখতে চান কিন্তু, বর্ণালী শ্বশুরবাড়িতে যেতে রাজি ছিলেন না। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই গন্ডগোল বাঁধতো। এরপর চাকদার রথতলা এলাকায় মাসখানেক আগে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে  স্ত্রী ও মাকে নিয়ে থাকতে শুরু কপেন  দেবাশিস।
 
শনিবার কী ঘটেছিল
শনিবার সকালে চাকদা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় মা নীহারবালা রায় কে নিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল দেবাশিস। পরে ট্রেনের ধাক্কায় দেবাশিস মারা গেলেও কোনোক্রমে বেঁচে যান মা নীহারবালা। এদিকে  সকাল থেকে বর্ণালীর সহ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় তার বাপের বাড়ির লোকজন। শেষপর্যন্ত সন্ধ্যায় তারা রথতলার ওই ভাড়া বাড়িতে বর্ণালীর খোঁজে আসেন। দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া। জানালা দিয়ে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় বর্ণালী রায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। পরে চাকদা থানার পুলিশ  শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দেহটি উদ্ধার করে।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন দেবাশিস রায়। তবে ওই রেলকর্মীর মা কী কারনে আহত হলেন তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।  জখম অবস্থায় দেবাশিসের মা  মা নীহারবালা রায়কে দেখতে পাওয়া যায়। পরে রেল পুলিশের তরফ থেকে রেলকর্মীর মাকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement