জমি অধিগ্রহণে সমস্যার কারণে বাংলায় একাধিক রেল প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে। এমনই দাবি করল রেল মন্ত্রক। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, বাংলায় বিভিন্ন রেল প্রকল্পের কাজের জন্য মোট ৩ হাজার ৪০ হেক্টর জমির প্রয়োজন। সেখানে মাত্র ৬৪০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। যা মাত্র ২১ শতাংশ। এখনও বাকি ২৪০০ একর জমি। রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণে সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেছে রেল। যদিও এর পাল্টা রাজ্যের তরফে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রেল মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের জন্য যে জমির প্রয়োজন হয়, তা অধিগ্রহণ করা হয় রাজ্য সরকারের মাধ্যমে। সেই জমি অধিগ্রহণের কাজই না এগোনোয় বাংলায় বিভিন্ন রেল প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
কোন কোন প্রকল্পের কাজ থমকে?
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, জমি অধিগ্রহণের সমস্যা কারণে যে প্রকল্পগুলির কাজ থমকে সেগুলি হল নবদ্বীপঘাট-নবদ্বীপধাম নিউ লাইন। এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন ১০৬.৮৬ একর জমি। সেখানে মাত্র ০.১৭ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। চন্দনেশ্বর-জলেশ্বর নিউ লাইনের জন্য প্রয়োজন ১৫৮ হেক্টর জমি। আজ পর্যন্ত কোনও জমিই সেখানে অধিগ্রহণ করা হয়নি। নৈহাটি-রানাঘাট থার্ড লাইনের কাজের জন্য প্রয়োজন ৮৭.৮৩ হেক্টর জমি। সেখানে মাত্র ০.০৯ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বালুরঘাট-হিলি নিউ লাইনের কাজের জন্য প্রয়োজন ১৫৬.৩৮ হেক্টর জমি। সেখানে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬৭.৩৮ হেক্টর জমি। সাঁইথিয়া ও সীতারামপুরে বাইপাসের কাজের জন্য প্রয়োজন ২২.২৮ হেক্টর জমি। সেখানে অধিগ্রহণ করা হয়েছে মাত্র ২.২২ হেক্টর জমি।
রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন রেল প্রকল্পের জন্য ৪ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ২০২৪-২৫ সালে বরাদ্দের পরিমাণ বেড়ে করা হয়েছে ১৩ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা।