অবশেষে পুজো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল রানাঘাটের কামালপুর অভিযান সংঘ। এই মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। তারমধ্যেই মঙ্গলবার নদিয়ার জেলাশাসক এই পুজোর অনুমতি ফের বাতিল করেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই পুজো হলে ভিড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যাবে। তারপরই ১১২ ফুটের দুর্গাপুজো বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, গ্রামবাসীর টাকায় এতদিন পুজোর আয়োজন করা হচ্ছিল। তবে হাইকোর্টে মামলা-মোকদ্দমায় অনেক টাকা খরচ হয়েছে। নতুন করে মামলা করার মতো সামর্থ্য তাঁদের নেই। সেজন্য মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন হাইকোর্ট থেকে।
কামালপুর অভিযান সংঘের তরফে এই বছর ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে পুজোর অনুমতি পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা যায়। ৩ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পুজোর অনুমতি চাওয়া হয়। তবে অনুমতি মেলেনি। জেলাশাসকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দমকল, পুলিশ, বিদ্যুৎ দফতর, মহকুমা শাসন কেউ এই পুজোর অনুমতি দেননি। আর এত বড় প্রতিমা গড়লে ভিড় উপচে পড়বে। যা সামাল দেওয়া কঠিন। তাতে প্রাণহানির আশঙ্কাও হতে পারে। এদিকে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। রাজ্যের শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয় জেলেশাসক এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর ফের অনুমতি চাওয়া হয় জেলাশাসকের কাছে। তিনি অনুমতি নাকচ করে দেন।
ক্লাবের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা গ্রামবাসীর টাকায় এই পুজো করছিলেন। সেজন্য এখনও পর্যন্ত ৬০ লাখ টাকা খরচও হয়েছে। তবে নতুন করে কারও কাছে হাত পেতে কোর্টে মামলা লড়া সম্ভব নয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় প্রায় ২০ টি ক্লাব সম্মিলিতভাবে এই পুজো করছিলেন। স্বেচ্ছাসেবক ও বাউন্সারও নিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। তবে আর্থিক কারণে মামলা লড়তে পারবেন না পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। তাই তাঁরা পুজো থেকে সরে আসছেন।