১৯ দিন হয়ে গেলেও অধরা সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’। ইডি-র ওপর হামলার পর প্রায় তিন সপ্তাহ হতে চলল, কিন্তু এখনও ধরা পরেননি সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। বুধবার সকালে সেই শেখ শাহজাহানের বাড়িতেই ফের হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন বিশাল কনভয় নিয়ে সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি, সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এদিন বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন ইডির আধিকারিকরা।
বুধবার সকালেই সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ন্যাজাট থানা থেকে মোতায়েন করা হয় পুলিশও। রয়েছেন রাজ্য পুলিশের ৩৫ জন আধিকারিকও। সূত্রের খবর, ইডির সঙ্গে এদিন প্রায় ১২৫জন জওয়ান ঘটনাস্থলে রয়েছে। সঙ্গে আনা হয়েছে তালার চাবি ভাঙার লোকও। তবে শেষপর্যন্ত দুটি তালা ভেঙেই শাহজাহানের বাড়ি প্রবেশ করেন ইডি আধিকারিকরা। সঙ্গে রয়েছে ভিডিওগ্রাফির লোকও।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৫ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের বাড়িতে তদন্ত করতে গিয়ে হিংসার মুখে পড়তে হয়েছিল ইডির আধিকারিকদের। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার পুরোদস্তুর প্রস্তুতি নিয়েই শাহজাহানের বাড়ি প্রবেশ করে ইডি। তল্লাশির আগাম খবর দেওয়া হয় জেলা পুলিশকেও।
রাজ্য পুলিশের দাবি মেনে এবার স্থানীয় দু'জন নিরপেক্ষ প্রত্যক্ষদর্শী নিয়ে ভেতরে ঢুকেছেন ইডির তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ভিডিওগ্রাফার-সহ মোট ১৩ জন তদন্তকারী আধিকারিক শাহজাহানের বাড়ির ভেতরে ঢুকেছেন। রাজ্য পুলিশের তরফেও পুরো তদন্ত প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। তবে তল্লাশি অভিযানে পুলিশকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি ইডি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছিলেন ইডির পাঁচ আধিকারিক। কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে যেতে হয় তাঁদের। তিন জনকে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে। ল্যাপটপ, মোবাইল থেকে নগদ টাকা খুইয়ে ফেরা ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আবার এফআইআরও হয় ন্যাজাট থানায়। পাল্টা ইডিও একটি এফআইআর দায়ের করে। ঘটনার পর তিন সপ্তাহ হতে চলল। কিন্তু এখনও পুলিশের জালে ধরা পড়েননি ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান।