নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চলছে ধর্না। চলছে কর্মবিরতিও। সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। সেই বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকের পর বড় পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মতো কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরানো হচ্ছে ডিসি নর্থ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে। তারপরেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু কেন?
কোথায় জট?
যে ৫ দাবি রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, তার অধিকাংশটাই মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে রাজ্যে স্বাস্থ্যসচিবকে সরানোর দাবিও ছিল। তবে এখনও স্বাস্থ্যসচিবকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার। আর এখানেই জট রয়েছে।
সোমবার মধ্যরাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নাস্থলে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, 'আন্দোলনকারীদর কাছে নতস্বীকার করল রাজ্য প্রশাসন। ৩৮ দিন পর আমাদের জয়। এই জয় সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক, নার্স সকলের। সকলে পাশে না থাকলে জয় সম্ভব হত না। সকলকে ধন্যবাদ।' জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার আরও বলেন, 'আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্না-বিক্ষোভ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।'
গত সপ্তাহে আরজি কর মামলার শুনানিতে জুনিয়র চিকিৎসকদর কাজে ফেরার জন্য ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই ডেডলাইন মানেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। এই বিষয়টি শুনানিতে উত্থাপিত হয় কি না, সেদিকে নজর রয়েছে। অন্য দিকে, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঙ্গলবার ৮ দিনে পড়ল।
সুপ্রিম কোর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী হিসেবে সওয়াল করবেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তাঁকে ঘিরে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে সব মহলে।আরজি কর মামলার শুনানিতে আজ সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিতে পারে সিবিআই। অন্য দিকে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর চালান আজ আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।