আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের মামলায় জামিন পেলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। শুক্রবার এই মামলায় জামিন পেয়েছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও। গ্রেফতারের ৯০ দিন পরেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। সে কারণেই সন্দীপ-অভিজিৎকে জামিন দিল শিয়ালদা আদালত। তবে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় জেলেই থাকতে হবে সন্দীপকে।
আরজি কর হাসপাতালে গত ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। সন্দীপকে ঘিরে ক্ষোভও তৈরি হয়। সন্দীপকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারপরে দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে ধর্ষণ-খুনের মামলায় সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবশেষে ধর্ষণ-খুনের মামলায় জামিন পেলেন সন্দীপ।
ধর্ষণ-খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। শুক্রবার অভিজিৎও জামিন পেয়েছেন।
ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সমাজের সর্বস্তরে প্রতিবাদের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে রাত দখল কর্মসূচিতে বেনজির প্রতিবাদের সাক্ষী থেকেছিল বাংলা। দীর্ঘদিন ধরে কর্মবিরতি চালিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা। ধর্মতলায় আমরণ অনশনেও বসেছিলেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে শেষে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরায় রাজ্য সরকার। পুজোর পরে খানিকটা থিতু হয় আন্দোলন। অবশেষে এই মামলায় জামিন পেয়ে গেলেন সন্দীপ ও অভিজিৎ।