রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বারবার কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ অবশ্য প্রতিবারই উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতাকর্মীরা। তবে এবার ঠিকাদারদের থেকে টাকা নেওয়া কথা স্বীকারই করে নিলেন শওকত মোল্লা। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল MLA মঞ্চে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বললেন, 'কনট্রাক্টরদের থেকে যে টাকা পাওয়া যেত তা দু-একজন ব্যক্তি নিয়ে চলে যেত।'
দলের এক সভায় এভাবে প্রকাশ্যে টাকা নেওয়ার কথা বলে রীতিমতো বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত একটি দলীয় কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি টাকা নেওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আগে কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে যে পয়সা পাওয়া যেত সেটা দু একজন ব্যক্তি নিয়ে চলে যেত। আমরা এখন সেই টাকা গরিব মানুষের মধ্যে বিলি করছি কিছু না কিছু দিয়ে।' প্রসঙ্গত, এলাকায় ভাঙড় বিধানসভায় পাঁচ হাজার কম্বল প্রদান করার কর্মসূচি নিয়েছেন সওকত মোল্লা। এর খরচ আনুমানিক ২৫-২৭ লক্ষ টাকা।
সমালোচকদের মতে, এদিন নাম না করলেও কিন্তু শওকত মোল্লার নিশানা ছিল আরাবুল ইসলামের দিকে। এই বিষয়ে আরাবুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'ওনার পরিবারের সদস্যরা সবাই কনট্রাক্টর। উনি নিজেই টাকা তোলেন।' এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি 'উদাহরণ'ও দিয়েছেন আরাবুল ইসলাম। তাঁর দাবি, 'এলাকায় একবার ছাতা বিলির জন্য পঞ্চাশ টাকা করে কেনা ছাতার ২০০ টাকা দাম ধরেছিলেন ভদ্রলোক।' এছাড়া রাস্তার কাজ থেকে শুরু করে অন্য অনেক কাজেই টাকা তোলার অভিযোগ করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। এলাকার বিজেপি নেতা অবনী মণ্ডল বলেন, 'আমরা যে বলতাম এটা কাটমানির সরকার, তা বিধায়ক স্বীকার করলেন। পিচের রাস্তায় পিচ উঠে যাচ্ছে তার কারণটা এখন স্পষ্ট।'