আগামী ২০ ও ২১ জুলাই শিয়ালদা ডিভিশনে রেললাইন মেরামতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলার কারণে একাধিক ট্রেন বাতিল থাকবে। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফে একথা জানানো হয়েছে। এদিকে আগামী রবিবার ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের 'শহিদ সমাবেশ' কর্মসূচির জন্য বিভিন্ন জেলা এবং শহরতলি থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের কলকাতায় আসার কথা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদা ডিভিশনে বহু লোকাল ট্রেন বাতিল থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শাসকদলের দাবি, রেলকে ব্যবহার করে তৃণমূলের সমাবেশে ব্যাঘাতের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিষয়টিতে তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বললেন, 'গতবারও করেছিল। এবারও করল। বিজেপির প্ল্যান। এটা লোকজন একুশে জুলাইয়েই সভায় লোকজন আটকানোর একটা চেষ্টা। কিন্তু সফল হবে না বিজেপি। এজন্যই মানুষ ১৮ থেকে ১২তে নামিয়েছে ওদের। রেলকে ব্যবহার করে শহিদ দিবসের সভায় কর্মী-সমর্থকদের ঢুকতে না দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এবার সভায় মানুষের যোগদান আগের রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে।'
তৃণমূলের তরফে আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদী যেদিন বসিরহাটের পরাজিত প্রার্থী রেখা পাত্রের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন, সেদিন স্পেশাল ট্রেন চালানো হয়েছিল। অথচ তৃণমূলের কর্মসূচীর দিনে রেল বাতিল করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উত্তর ২৪ পরগণা, নদিয়া, কৃষ্ণনগর, রানাঘাটের বিপুল সংখ্যক সমর্থক-কর্মীদের আটকে দেওয়ার জন্যই বিজেপি রেলকে ব্যবহার করছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ট্রেন বাতিলে সমস্যার কথা মাথায় রেখেই পর্যাপ্ত বাস ও অন্যান্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবারে বিশাল সমাগম হবে একুশের সভায়।
এদিন পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার আপ-ডাউন মিলিয়ে এক জোড়া নৈহাটি-ব্যান্ডেল, এক জোড়া শিয়ালদা-শান্তিপুর, এক জোড়া শিয়ালদা-রানাঘাট এবং এক জোড়া কল্যাণী সীমান্ত-নৈহাটি লোকাল বাতিল করা হয়েছে। রবিবার বাতিল করা হয়েছে আপ-ডাউন মিলিয়ে চার জোড়া নৈহাটি-ব্যান্ডেল, দু’জোড়া শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর, দু’জোড়া শিয়ালদা-শান্তিপুর, এক জোড়া শিয়ালদা-রানাঘাট লোকাল। এছাড়াও, বাতিল থাকবে দু’জোড়া শিয়ালদা-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল, এক জোড়া রানাঘাট-নৈহাটি লোকাল এবং একটি নৈহাটি-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল।
দূরপাল্লার ট্রেনের সূচি এবং যাত্রাপথেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। রবিবার বালিয়া-শিয়ালদা এক্সপ্রেস, যোগবাণী-কলকাতা এক্সপ্রেস, গোরক্ষপুর-কলকাতা পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস, মালদহ টাউন-শিয়ালদহ গৌড় এক্সপ্রেস এবং জয়নগর শিয়ালদা গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস নৈহাটির পরিবর্তে ডানকুনি হয়ে যাবে। তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন নির্ধারিত সময়ের পরে শিয়ালদা এবং অন্যান্য স্টেশন থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে।