‘সব মিথ্যে! আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ এবার এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহান। সংবাদ মাধ্যমকে দেখে বুধবার একথাই বলেন সন্দেশখালি কাণ্ডে শেখ শাহজাহান শেখ। এদিন তাঁকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময়, সেই সময় আত্মপক্ষ সমর্থন করে এমন দাবি করেন শাহজাহান। বুধবার গাড়িতে ওঠার সময় নিজে থেকেই বলে উঠলেন, ‘আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।বুঝতেই পারছেন, কারা এই ষড়যন্ত্র করছে!’ তবে কারুর নাম তিনি মুখে আনেননি।
বুধবার আদালতে পেশের আগে় জোকা ইএসআই হাসপাতালে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। হাসপাতালে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শাহজাহান। শাহজাহানকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বললেন, ”সব মিথ্যা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে।” ফের তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “কারা করছে ষড়যন্ত্র?” শাহজাহানের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘বুঝতেই পারছেন…’ এদিন বারবার একটি কথাই বলতে শোনা যাচ্ছিল শেখ শাহজাহানকে। তিনি বারবার দাবি করছিলেন, “সব মিথ্যা।” ইএসআই হাসপাতাল থেকে শারীরিক পরীক্ষার পর বেরিয়ে আসার সময়ে ফের শেখ শাহজাহানকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘জেলিয়াখালির শরিফুল মোল্লাকে চিনতেন? কেনো শরিফুলের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছিলেন?” আবারও শাহজাহান বললেন, ‘সব মিথ্যা।’
সূত্রের খবর, গ্রেফতারির পর শেখ শাহজাহানের পেট থেকে কথা বার করতে বেশ এক প্রকার বেগ পেতে হচ্ছিল তদন্তকারীদের। এবার ধীরে ধীরে শেখ শাহজাহান মুখ খুলছেন। প্রসঙ্গত, পুলিশি গ্রেফতারির পর সন্দেশখালি কাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে আদালতের নির্দেশে হেফাজতে নেয় সিবিআই। এখন ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। বুধবার সকালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য জোকার ইএসআই হাসপাতালে যাওয়া হচ্ছিল শাহজাহানকে। গাড়ি থেকে নেমে হাসপাতালে ঢোকার সময় তিনি দাবি করেন, সবটাই মিথ্যে। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। অবশ্য কারা ষড়যন্ত্র করেছে তা বলেননি। প্রসঙ্গত, ইডি সূত্রে জানা গেছে, শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে দু’টি দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া গেছে। যার একটি রেশন দুর্নীতি। অন্যটি মাছের ব্যবসার আড়ালে চালানো দুর্নীতি।