বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস (Uttar Banga Express)। এর ফলে ঘণ্টা চারেক পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। নাকাল হলেন যাত্রীরা। তাঁরা বিক্ষোভও দেখান।
কোচবিহারের বামনহাট থেকে শিয়ালদার দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। চলন্ত ট্রেনের বগির চাকার এক্সেলের বিয়ারিং ভেঙে এই দুর্ঘটনা বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ফালাকাটা ষ্টেশনে প্রায় চার ঘন্টা আটকে থাকে। এর জেরে ট্রেনের যাত্রী বিক্ষোভ চরমে উঠে। ফালাকাটা ষ্টেশনের, ষ্টেশন মাষ্টারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ট্রেনের যাত্রীরা।
উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস (Uttar Banga Express) এদিন বিকেলে ফালাকাটা স্টেশনে ঢোকার প্রায় দু'কিলোমিটার আগেই বিষয়টি নজরে আসে রেলের কর্মীদের। ফালাকাটা ষ্টেশনের ৪৫ নম্বর গেটের দায়িত্বে থাকা রেলকর্মীদের নজরে আসে ওই ঘটনাটি।
ওই ট্রেনের শেষ অংশের একটি যাত্রীবাহী বগি থেকে ধোঁয়া বেরোতে লক্ষ্য করে ৪৫ নম্বর গেটের কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গেই এই বিষয়টি স্টেশন মাষ্টারকে খবর দেন।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই বগিটি পরীক্ষার পর ধরা পড়ে যে ওই বগির চাকার এক্সেলের বিয়ারিং ভেঙে বিপত্তি ঘটেছে। এরপর ঊর্ধতন রেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই বগিটিকে ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
চার ঘন্টারও বেশি সময় পর ট্রেনটি গন্তব্যের দিকে রওনা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস (Uttar Banga Express) ফালাকাটা স্টেশনে থমকে থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা।
ফালাকাটা স্টেশনের এএসএম গোপাল দাস জানান "গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ করতে বেশ খানিকটা সময় গড়িয়ে যায়। যার ফলে যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। অথচ আমাদের করনীয় কিছুই ছিল না।"
এদিকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস (Uttar Banga Express)-এর মতো ট্রেনের এই ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত ট্রেনের যাত্রীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে। যাত্রীদের অভিযোগ, কেন কোচবিহার ষ্টেশন থেকেই ট্রেনের এই বিষয়টিকে দেখা হয়নি।
যদিও বিষয়টিকে কোনও গুরুত্ব দিতে চাইছে না রেল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের বিভাগীয় রেল প্রবন্ধক কে এস জৈন জানিয়েছেন এটা খুব ছোট বিষয়। তবে এই বিষয়টি কোচবিহার ষ্টেশনে নজরে এলে ফালাকাটা ষ্টেশনে যাত্রীদের এত কষ্ট হত না।
অবশেষে এদিন ৪ঘন্টা পরে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস (Uttar Banga Express) ছাড়ে। বিকেল চারটের বদলে ফালাকাটা ষ্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস রাত আটটায় কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
অসীম দত্তর প্রতিবেদন