Advertisement

'কিছু নেতা অন্ধ আনুগত্য দেখাতে গিয়ে...' তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ ইস্যুতে তাত্‍পর্যপূর্ণ মন্তব্য কুণালের

অনেক সিনিয়র নেতা-মন্ত্রী অন্ধ আনুগত্য দেখাতে চাইছে। আমরা অতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে ডিভিশনের লাইন তৈরি করে ফেলছি। সোমবার তৃণমূলে নবীন-প্রবীন দ্বন্দ্ব নিয়ে জল্পনার মাঝেই বিস্ফোরত কুণাল। এদিন আরও এক 'ভবিষ্যতবাণী' করেন কুণাল ঘোষ। সোমবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কুণাল বলেন, 'একটা সুদূর ভবিষ্যত আসবে, যখন মমতাদি আশীর্বাদ করবেন, আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেবেন।'

ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 01 Jan 2024,
  • अपडेटेड 3:12 PM IST
  • অনেক সিনিয়র নেতা-মন্ত্রী অন্ধ আনুগত্য দেখাতে চাইছে। আমরা অতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে ডিভিশনের লাইন তৈরি করে ফেলছি। সোমবার তৃণমূলে নবীন-প্রবীন দ্বন্দ্ব নিয়ে জল্পনার মাঝেই বিস্ফোরত কুণাল।
  • এদিন আরও এক 'ভবিষ্যতবাণী' করেন কুণাল ঘোষ। সোমবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কুণাল বলেন, 'একটা সুদূর ভবিষ্যত আসবে, যখন মমতাদি আশীর্বাদ করবেন, আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেবেন।'
  • দলে প্রবীণরা পদ ছাড়ুন। নবীনদের জায়গা করে দিন। এর আগে কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের জেরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। দলেরই একাংশের দাবি, এর মাধ্যমে কার্যত তৃণমূলে প্রবীণদের অবদান অস্বীকার করছেন কুণাল।

অনেক সিনিয়র নেতা-মন্ত্রী অন্ধ আনুগত্য দেখাতে চাইছে। আমরা অতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে ডিভিশনের লাইন তৈরি করে ফেলছি। সোমবার তৃণমূলে নবীন-প্রবীন দ্বন্দ্ব নিয়ে জল্পনার মাঝেই বিস্ফোরত কুণাল। এদিন আরও এক 'ভবিষ্যতবাণী' করেন কুণাল ঘোষ। সোমবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কুণাল বলেন, 'একটা সুদূর ভবিষ্যত আসবে, যখন মমতাদি আশীর্বাদ করবেন, আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেবেন।'

দলে প্রবীণরা পদ ছাড়ুন। নবীনদের জায়গা করে দিন। এর আগে কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের জেরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। দলেরই একাংশের দাবি, এর মাধ্যমে কার্যত তৃণমূলে প্রবীণদের অবদান অস্বীকার করছেন কুণাল। সোমবার সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে কুণাল বলেন, দলে প্রবীণদের অবদান নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তবে 'পারফরম্যান্স' নিয়ে কোনও আপোস করতে নারাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

কুণাল নন্দীগ্রামের ব্যর্থতার জন্যও এই খারাপ 'পারফরম্যান্স'কেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রামে যারা দায়িত্বে ছিল তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তে জেতাতে পারেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের ঘরে ঘরে আছেন। সেখানকার মতো জায়গাতেও তাঁরা ঠিক করে পারফর্ম করতে পারলেন না।'

দলে দ্বন্দ নিয়ে কুণাল বলেন, ' যাঁরা বলছেন তাঁরা হয় তো অন্ধ আনুগত্য দেখাতে চাইছে। আমরা অতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে ডিভিশনের লাইন তৈরি করে ফেলছি।' তিনি বলেন, 'শুভেন্দু এবং বিজেপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা কুরুচিকর মন্তব্য করছেন। আমাদের কয়েকজন সিনিয়র লিডার কিন্তু পাল্টা সমালোচনা করছেন না। গোলগোল বক্তৃতা করছেন না। আমরা কয়েকজন বলছি। কিন্তু মন্ত্রীদের একাংশ চুপ। বিভিন্ন সুবিধা নেব, কিন্তু আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করবে আর আমি গোলগোল বক্তৃতা দেব, ন্যাকা ন্যাকা কথা বলব, এমনটা করলে কীভাবে হবে?'

দলের একাংশের জন্য আন্দোলনের গতিতেও বাধা পড়ছে বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'অভিষেক আন্দোলনে যে গতি এনে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন, সেটা কেন থমকে দেওয়া হল? মমতার ইলেকশন মার্কেটিং করতে পারে না। মমতাদি তো নন্দীগ্রামে গিয়ে প্রচার করতে পারবেন না। সারা বাংলায় তো তৃণমূলের আসন কম নয়।'

Advertisement

মমতা-অভিষেক দ্বন্দ নিয়ে প্রশ্ন করতে কুণাল বলেন, 'মমতাদি অভিষেককে স্নেহ করেন, এবং অভিষেক মমতাকে সম্মান করেন। মমতা বনাম অভিষেক নয়।' তিনি বলেন, 'অভিষেক সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েছে। ওঁ বড়দের সম্মান, শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু তারা দলের প্রতি কী অবদান রাখছেন তাতে গুরুত্ব দেন। অভিষেকের কাছে পারফরম্যান্সই শেষ কথা।'

প্রসঙ্গত, এদিন প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে যাবে... মমতা আছেন বলেই দেশের রাজনীতিতে আলোচনায় থাকে বাংলা।'

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও এদিন বিস্ফোরক হন কুণাল। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে দিল্লিতে অভিষেকের আন্দোলনের তীব্র ঝাঁঝের কথা সবাই জানেন। সেখানে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এই কথাটা বলবেন?'

সুব্রত বক্সীও এদিন মমতা-অভিষেক ইস্যুতে মুখ খোলেন। প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সর্ব স্তরের ভারতবর্ষের রাজনীতিতে সাধারণ সম্পাদক। স্বাভাবিক ভাবেই এই নির্বাচনে যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করেন, নিশ্চিত ভাবে আমাদের ধারণা, উনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জোড়াফুলকে সামনে রেখে লড়াই করবেন উনি।'

পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেই মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, 'যুবরাও বলেন মমতাদি এগিয়ে চলুন আমরা আপনার পাশে আছি। আবার আমার মতো ৬৫ বছরের কর্মীরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেন।'

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement