Advertisement

SSC Job Case: 'সিস্টেমিক ফ্রড,' SSC নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ঠিক কী কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?

২০১৬ সালে এসএসসির নিয়োগে কারও চাকরি আপাতত যাচ্ছে না। তবে এই নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে আগামী ১৬ জুলাই। মঙ্গলবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের সংক্ষিপ্ত রায়ে কিছুটা স্বস্তিতে ওই বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে 'সিস্টেমিক ফ্রড'-এর কথা। আর কী বলল সর্বোচ্চ আদালত?

এসএসসি মামলায় যা বলল সুপ্রিম কোর্ট।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 08 May 2024,
  • अपडेटेड 10:04 AM IST
  • ২০১৬ সালে এসএসসির নিয়োগে কারও চাকরি আপাতত যাচ্ছে না।
  • এই নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে আগামী ১৬ জুলাই।
  • শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে 'সিস্টেমিক ফ্রড'-এর কথা।

২০১৬ সালে এসএসসির নিয়োগে কারও চাকরি আপাতত যাচ্ছে না। তবে এই নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে আগামী ১৬ জুলাই। মঙ্গলবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের সংক্ষিপ্ত রায়ে কিছুটা স্বস্তিতে ওই বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে 'সিস্টেমিক ফ্রড'-এর কথা। আর কী বলল সর্বোচ্চ আদালত?

'সিস্টেমিক ফ্রড'

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পর্যবেক্ষণ, 'সরকারি চাকরি এমনিই দুর্লভ। এর মূল্য মানুষের কাছে অনেক। কারণ, সরকারি চাকরিকে সামাজিক উন্নতির পথ হিসাবে দেখেন। সেই সরকারি নিয়োগে যদি এমন অনিয়ম হয়, তা হলে মানুষের আস্থাই চলে যাবে। এটা সিস্টেমিক ফ্রড। যদি সরকারি নিয়োগও কালিমালিপ্ত হয়, তা হলে আর গোটা ব্যবস্থায় কী পড়ে থাকবে? মানুষ যদি আস্থা হারায়, কীভাবে তার মোকাবিলা করবেন?'

আদালত এ-ও বলেছে যে, যদি বেআইনি ভাবে নিযুক্তদের আলাদা করা যায়, তা হলে শুধু তাঁদের চাকরিই বাতিল হওয়া উচিত। সকলের চাকরি বাতিলটা শেষ বিকল্প হতে পারে। অযোগ্যদের আলাদা করে বাছাই করা সম্ভব বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এসএসসির উদ্দেশে আদালত বলেছে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সমস্ত তথ্য রাখা উচিত ছিল এসএসসির। গোটা বিষয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত ছিল। 


এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের বেতন দিতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ সমেত বেতন ফেরত দিতে হবে। সেই বেতন ফেরত মিলেছে কিনা তা ৬ সপ্তাহের মধ্যে দেখার নির্দেশ জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের। এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনেক ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র এখনও এসএসসির ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি। সেগুলি দ্রুত আপলোডের নির্দেশ। একমাত্র সোমা দাস নামে এক চাকরিপ্রাপকের চাকরি থাকবে। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। মানবিক কারণে তাঁর চাকরি বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। এসএসসি মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। যাঁকে প্রয়োজন, তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে তদন্তকারী সংস্থা। পুনর্মূল্যায়নের পর নতুন প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ। এসএসসিকে টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।

Advertisement


সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় প্রাপ্তির পর আমি বাস্তবিকই খুব খুশি এবং মানসিক ভাবে তৃপ্ত। শিক্ষক সমাজকে জানাই আমার অভিনন্দন এবং মাননীয় সুপ্রিম কোর্টকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা।' অন্য দিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'অযোগ্যদের জন্য অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর মন্ত্রিসভাকে জেলে পুরবে। তাই এই আদেশকে স্বাগত জানাচ্ছি।'

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement